আক্ষেপের হারে বছর শুরু বাংলাদেশের
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৪১ (মাহমুদউল্লাহ ৫২; ফার্গুসন ৩/৩২)
নিউজিল্যান্ড ১৮ ওভারে ১৪৩/৪ (উইলিয়ামসন ৭৩*, গ্র্যান্ডোম ৪১*; মুস্তাফিজ ১/২১)
ফলঃ নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
স্কোরকার্ড বলছে ম্যাচটা একদম হেসেখেলেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে ১২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তো অনায়াসই বলা উচিত। তবে স্কোরকার্ড বলছে না, একটা সময় নিউজিল্যান্ডকে ভালোমতোই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। স্কোরকার্ড বলছে না, উইলিয়ামসনের ওই ক্যাচটা সৌম্য সরকার ধরতে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত। শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি, নিউজিল্যান্ড সফরে আবারও জয়হীন রইল বাংলাদেশ।
নেপিয়ারের ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে ১৪১ রান করে জেতার আশাটা একটু দুরাশাই। কিন্তু বাংলাদেশ অন্তত একটা সময় পর্যন্ত সেটি ভালোমতোই জাগিয়ে রাখতে পেরেছিল। সেই শুরুটা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। রুবেল হোসেনের বলে নিল ব্রুমের পুলটা ছয় প্রায় হয়েই গিয়েছিল। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে গত বছরের সৌম্যকে মনে করিয়ে দেওয়া দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাকিব এনে দেন উদযাপনের উপলক্ষ।
ওই আউটটাই যেন জাগিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। মুস্তাফিজ প্রথম ওভারেই এসে ফিরিয়ে দেন কলিন মানরোকে। বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা কোরি অ্যান্ডারসনও ফিরে যান ১৪ বলে ১৩ রান করে। ৬.৩ ওভারে ৪৬ রান তুলে ৩ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড হঠাৎ একটু এলোমেলো। ১১তম ওভারে অভিষিক্ত টম ব্রুসও যখন ফিরে গেলেন, বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিল। নিউজিল্যান্ডের তখনও ১০ ওভারে দরকার ৮০ রান, ভরসা ছিলেন উইলিয়ামসন।
শেষ পর্যন্ত সেই উইলিয়ামসনই গত ম্যাচের মতো আরও একবার বাংলাদেশের হন্তারক। তবে কিউই অধিনায়কের সৌভাগ্যই বলতে হবে। ১৪তম ওভারে সাকিবের বলে ক্যাচই তুলে দিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। কিন্তু সীমানাপ্রান্ত থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকায় বলটা সৌম্যর মাথার ওপর দিয়ে চার হয়ে যায়। এক ওভার পর সৌম্য নিজেই সেই দুর্ভাগ্যের শিকার, এবার তামিম এগিয়ে থাকায় ক্যাচটা ধরতে পারেননি। ম্যাচটা অবশ্য ততক্ষণে নিউজিল্যান্ড হাতের মুঠোয় নিয়ে ফেলেছে। শেষ পর্যন্ত ৫৫ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন উইলিয়ামসন। ২২ বলে ৪১ রান নিয়ে অন্য প্রান্তে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডোম।
শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর ৫২ রানের ইনিংসটা তাই ভেস্তেই গেছে। বাংলাদেশের পরের ম্যাচটা আগামী ৬ জানুয়ারি এই নেপিয়ারেই।