আবারও আশা জাগিয়েও হার বাংলাদেশের
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ১৯৫ (মানরো ১০১, ব্রুস ৫৯*;রুবেল ৩/৩৭)
বাংলাদেশ ১৮.১ ওভারে ১৪৮ (সাব্বির ৪৯, সৌম্য ৩৯; সোধি ৩/৩৬)
ফল : নিউজিল্যান্ড ৪৭ রানে জয়ী
আবারও সেই একই ব্যর্থতার গল্প, আবারও আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া ব্যাটিং। পুরো নিউজিল্যান্ড সিরিজেই বাংলাদেশ দলের বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে যেটি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও সেই পরাজয়ের বৃত্তেই ঘুরপাক বাংলাদেশের, এবার হেরে গেছে ৪৭ রানে। প্রথম দুই ম্যাচেই পরাজিত হয়ে নিশ্চিত হয়ে গেছে সিরিজ হারও।
জিততে হলে ইতিহাসই গড়তে হতো বাংলাদেশকে। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১৬৩ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। শুরুতে ব্যাট করে যখন ৩৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলল, সেই রেকর্ডটাও অনেক দূরে মিলিয়ে গেছে বলেই মনে হচ্ছিল। তিন সিনিয়র ব্যাটসম্যানকেই সেই দায় নিতে হবে। স্যান্টনারের প্রথম ওভারেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন ইমরুল কায়েস। তামিম ইকবাল ভালো খেলছিলেন, ১৩ রানও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু সাব্বির রহমানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে হয়ে গেছেন রান আউট। তবে সবচেয়ে বেশি দায়টা নিতে হবে সাকিব আল হাসানকেই। পরিস্থিতি যখন তাঁর কাছ থেকে দায়িত্বশীলতা আশা করছিল, বেন হুইলারের বলে সহজ একটা ক্যাচ তুলে ফিরে গেলেন প্যাভিলিয়নে।
আরেকটি বড় হার যখন চোখ রাঙাচ্ছে, তখনই ঘুরে দাঁড়ালেন সৌম্য-সাব্বির। এই সিরিজে বেশ কয়েকবার ভালো শুরু করেও বড় কিছু করতে পারেননি সাব্বির। তবে আজ শুরু থেকেই ব্যাটে-বলে দারুণ হচ্ছিল। সাব্বিরের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা প্রত্যাশিত, তবে সৌম্যের জন্য একটু অন্যরকম। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সঙ্গে ওই ৪৮ রানের ইনিংসের পর কোনো ২০ ওভারের ম্যাচেই আর ২৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলেও ছিলেন বিবর্ণ। দল থেকে বাদ দেওয়ারও সমালোচনা চলছিল তুমুল। আজ খুব বড় কিছু করতে পারেননি, তবে যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন সেই পুরনো সৌম্যকেই মনে করিয়ে দিলেন। ২৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে তিন চার ও দুই ছয়ে ট্রেডমার্ক কিছু শটও খেলেছেন।
দুজনের ৬৮ রানের জুটিতে বাংলাদেশ ১০ ওভারের একটু পরেই ১০০ পেরিয়ে গিয়েছিল। জয়ের স্বপ্নটা যখন একটু একটু করে কাছে আসতে শুরু করেছে, তখনই সৌম্য আউট হয়ে গেলেন। মড়কের শুরু ওখানেই, দুই ওভার পরে ফিরে গেলেন সাব্বিরও। ওদিকে রানরেটও বেড়ে যাচ্ছে তরতর করে। বড় শট খেলতে গিয়ে দারুণ এক ক্যাচে আউট হয়ে গেলেন মোসাদ্দেক। আশা হয়ে ছিলেন শুধু মাহমুদউল্লাহই, ১৬ বলে ১৯ রানও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু ১৪৪ রানে ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের বড় হারই নিশ্চিত হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত ৪ রানেই শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, অলআউট হয়ে গেছে ১৪৮ রানে।