বাতাসকেই দায়ী করলেন মাশরাফি
শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। দিনের প্রথম বলেই আউট লুক রঙ্কি। এরপর ৩৬ রানের মধ্যে ফিরে গেলেন কেন উইলিয়ামসন ও কোরি অ্যান্ডারসনও। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ইনিংসেই বলতে গেলে ম্যাচের ভাগ্যটা লেখা হয়ে গেল। কলিন মানরোর সেঞ্চুরিতে যে ১৯৫ রানের পাহাড়ে চড়ে বসেছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা স্বীকার করলেন, আরেকটু মাথা খাটিয়ে বল করলে কিউইরা এতো রান করতে পারত না।
আগের ম্যাচেই ১৪০ রানের পুঁজি নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছিলেন মাশরাফিরা। কিন্তু মাউন্ট মঙ্গুনুইতে বাজে বোলিংয়ের মাশুল দিতে হয়েছে। মাশরাফি বলছেন, এক দিক থেকে বয়ে আসা বাতাসের সঙ্গে খাপ না খাওয়াতে পারার কারণেই এই অবস্থা, “ উইকেটের এক পাশে বাতাস ছিল। ওই পাশ থেকে বল করা বেশ কঠিনই ছিল। ওদিকটাই ওরা টার্গেট করছিল। তবে আরেকটু ডিসিপ্লিন বোলিং করলে, আরেকটু বেশি ইয়র্কার করলে অন্যরকম হতে পারত। আরেকটু বুদ্ধি করে বোলিং করলে রান রেট আরও কম রাখা যেত। বাতাস নিয়ে আমাদের একটু পরিকল্পনা করা উচিত ছিল।”
তবে আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে দুইটি ওভারই আসলে ম্যাচটা কিউইদের মুঠোয় নিয়ে গেছে। ১৩ তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর এক ওভার থেকেই কলিন মানরো নিয়েছেন ২৮ রান, তার আগে মোসাদ্দেকের করা নবম ওভারেও এসেছে ১৫ রান। মাশরাফি মনে করছেন, উইকেটের অনভ্যস্ততার কারণেই মাশুল দিতে হয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের, “এই উইকেটে বল করতে ওরা অভ্যস্ত। ওদের স্পিনাররা যেমন এই উইকেটে কোথায় বল ফেলতে হবে সেটা জানে। আমাদের স্পিনাররাও শুরুটা ভালো করেছিল। সাকিব শেষেও খারাপ করেনি। মোসাদ্দেক- মাহমুদউল্লাহ হয়তো ভালো করতে পারেনি। তবে বাতাসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা কঠিনই ছিল। ”
তবে মাশরাফি মনে করছেন, ওদের রানটা এত বেশি হয়ে যাওয়ার পরেও বাংলাদেশের সুযোগ ছিল, "এই উইকেটে ১৮০ তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল, ভালো একটা শুরু পেলে অন্য রকম কিছু হতে পারত। তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও কিন্তু আমরা ইতিবাচক ছিলাম, সুযোগও সৃষ্টি করেছিলাম। কিন্তু পর পর দুইজন সেট ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ায় কাজটা কঠিন হয়ে গেছে।”