অ্যান্ডারসন-ঝড়ে আবারও সেই দিশেহারা বাংলাদেশ
১১ ওভার শেষে একটা দলের রান ৬৭। ২০ ওভার শেষে সেটা কত হবে? খুব বেশি হলে ১৫০ বা বড়জোর ১৬০। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সেই রান ২০ ওভার শেষে হলো ১৯৪। এবং সেই কৃতিত্ব পুরোপুরিই প্রাপ্র্য কোরি অ্যান্ডারসনের। ৪৭ বলে ৯৪ রানের ইনিংসেই যে বাংলাদেশের আরেকটি হার প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছেন।
ঠিক আগের ম্যাচের চিত্রনাট্যটাই যেন আবার লেখা হলো এই ম্যাচে। টসে জিতে বাংলাদেশের বোলিং, শুরুতে কয়েকটা উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দেওয়া। ওপেনিং করতে নামা জিমি নিশম খুব বেশিদূর যেতে পারেননি, সৌম্যর দারুণ এক ক্যাচে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কলিন মানরোও আউট হয়ে গেছেন শুন্য রানে। এরপর ৪১ রানে টম ব্রুসও ফিরে গেলে মনে হচ্ছিল, নিউজিল্যান্ড হয়তো পাহাড়ে চড়ে বসতে পারবে না।
কিন্তু অ্যান্ডারসন ভেবেছিলেন অন্যরকম। শুরুতে একটু খোলসের মধ্যে ছিলেন। প্রথম ২২ রানের জন্য খেলতে হয়েছিল ১৭ বল। কিন্তু মাশরাফির এক ওভারে সেই যে ২২ রান নিয়ে শুরু, এরপর অ্যান্ডারসনের ঝড়েই দিশেহারা হয়ে গেছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে বেশি তোপ গেছে মাশরাফি ও সৌম্যর ওপর দিয়ে দুজনের দুই ওভার থেকে এসেছে ৪৩ রান। এর মধ্যে আবার উইলিয়ামসনের দুইটি সহজ ক্যাচও ফেলে দিয়েছেন তামিম-সাকিব। সেটার জন্য অবশ্য খুব বড় মাশুল দিতে হয়নি, উইলিয়ামসন আউট হয়ে গেছে ৬০ রান করেই।
কিন্তু অন্য প্রান্তে অ্যান্ডারসন তরবারি চালিয়েই গেছেন। আরেকটু হলেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রিচার্ড লেভির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও ভেঙে দিতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থেকেছেন। আর দুঃস্বপ্নের সিরিজে বাংলাদেশের বোলারদের আরও একটি ভুলে যাওয়ার মতো দিন গেল।