• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    টি-টোয়েন্টিতেও ধবলধোলাই বাংলাদেশ

    টি-টোয়েন্টিতেও ধবলধোলাই বাংলাদেশ    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর
    নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ১৯৪/৪ (অ্যান্ডারসন ৯৪*, উইলিয়ামসন ৬০; রুবেল ৩/৩১)
    বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৬৭/৬  (সৌম্য ৪২, সাব্বির ৪১; বোল্ট ২/৪৮)
    ফল: নিউজিল্যান্ড ২৭ রানে জয়ী
    ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কোরি অ্যান্ডারসন 


    টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ১৬৩। আগের ম্যাচেই বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছিল, ১৮০-১৯০ রান তাদের জন্য একটু বেশিই। আজও বাংলাদেশের সামনে ২০০র কাছাকাছি লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দিল নিউজিল্যান্ড। আজও দারুণ শুরুর পর শেষ পর্যন্ত সেই লক্ষ্যটা বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেল। নিউজিল্যান্ডের ১৯৪ রান তাড়া করে শেষ পর্যন্ত ২৭ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। 
    অথচ শুরুটা বোধ হয় এর চেয়ে ভালো হতে পারত না। ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস, ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী সৌম্য সরকার। শুরুটা দুর্দান্তই ছিল, ২৭ বলে ৪৪ রানও তুলে ফেলেছিলেন দুজন। ১৫ বলে ২৪ রান আউট করে তামিমের আউটের পর ভেঙে যায় ওই জুটি।


    তবে সৌম্য অন্যপ্রান্তে ঠিকই সৌরভ ছড়াচ্ছিলেন। আগের ম্যাচেই ফর্মে ফেরার ভাস দিচ্ছিলেন, আজ দেখালেন নিজের হারানো ফর্ম ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছেন। জিমি নিশমের এক ওভারে তিন চারে জানিয়ে দিচ্ছিলেন, আজকের দিনটা তাঁরও হতে পারে। সাব্বিরকে নিয়ে ৬ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ৬৯, নিউজিল্যান্ডের ১৯৪ রান তখন মোটেই অসম্ভব মনে হচ্ছিল না।


    কিন্তু আগের ম্যাচের মতোই সেই আশা জাগতে না জাগতে মিলিয়ে গেল। দারুণ খেলতে খেলতেই নবম ওভারে ইশ সোধির বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন সৌম্য। ২৮ বলে ৪২ রানের ইনিংসটা বড় করার জন্য নিশ্চয় আফসোস থাকবে! তবে সেখান থেকে ব্যাটনটা যাঁর ধরার কথা, সেই সাব্বিরও থাকেননি বেশিক্ষণ। ১৬ বলে ১৮ রান করার পর জঘন্য এক শটে উইকেট দিয়ে এসেছেন কেন উইলিয়ামসনকে। 


    উইকেট পড়তে থাকায় রানের গতি অবশ্য তখন বেশ স্লথ হয়ে এসেছে। ম্যাচও একটু একটু আরও বেশি দূরে সরে গেছে বাংলাদেশের কাছ থেকে। প্রথম ৬ ওভারে যখন এসেছে ৬৯, পরের ৬ ওভারে এসেছে মাত্র ৩০ রান। কৃতিত্বটা সোধি-স্যাণ্টনারদেরই বেশি প্রাপ্য। শেষ পর্যন্ত লাফ দিয়ে বেড়ে চলা রানরেটের সাথে আর পাল্লা দিতে পারেনি বাংলাদেশ।


    এরপর মাহমুদউল্লাহ- সাকিব মিলে চেষ্টা করেছিলেন। ৪১ রানের ইনিংসে ব্যাটিংখরাটাও কিছুটা কাটিয়েছেন সাকিব।  কিন্তু শেষ পর্যন্ত হারের ব্যবধানটাই শুধু কমেছে তাতে। শেষ পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে ব্যবধান হয়ে থেকেছেন অ্যান্ডারসনই।