অধিনায়কত্ব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল ধোনিকে?
ঘোষণাটাই এসেছিল চমক হয়ে। টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন আগেই, মহেন্দ্র সিং ধোনি ওয়ানডে-টি টোয়েন্টির অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিলেন কদিন আগেই। কিন্তু হুট করে এই সিদ্ধান্ত নিতে গেলেন কেন? এখন পর্যন্ত ধোনি প্রকাশ্যে এ নিয়ে কিছু বলেননি। তবে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস জানাচ্ছে, ধোনি নিজের ইচ্ছায় সরে যাননি। বরং তাঁকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে একরকম বাধ্যই করা হয়েছে।
পুরো প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে নতুন নির্বাচক কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর। এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বে নির্বাচক কমিটি তখনই আগামী পাঁচ বছরের ভারতের ক্রিকেটের একটা রূপরেখার খসড়া করেন। সেখানে সবচেয়ে বেশি জোর পায় ২০১৯ বিশ্বকাপ। ওই সময় ধোনি অধিনায়ক থাকলে তাঁর বয়স হতো ৩৯। এজন্য নির্বাচক কমিটি ঠিক করে, নতুন অধিনায়ককে যত দ্রুত সম্ভব দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
এই ভাবনার পরেই পরিকল্পনা নিয়ে তোড়জোর শুরু করেন কমিটি। গত সপ্তাহে নাগপুরে গুজরাটের সঙ্গে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ ছিল ধোনির ঝাড়খন্ডের। নিজে না খেললেও সেখানে পরামর্শক হিসেবে ছিলেন ধোনি। ওখানেই এমকে প্রসাদ তাঁর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানান। ধোনিও অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়ে যান।
এরপরেই বিসিসিআই ঘোষণা দেয়, ধোনি আর অধিনায়কত্ব থাকছেন না। প্রসাদও সঙ্গে সঙ্গে এক বিবৃতিতে ধোনিকে অভিনন্দন জানান, “এমন ঠিক সময়ে সিদ্ধান্তটা নেওয়ার জন্য ধোনিকে অভিনন্দন জানাই। কোহলি টেস্টে খুবই ভালো করছে, নিজেকে সে এর মধ্যে প্রমাণও করেছে।” কোহলিও পরে ধোনিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, চাইলে এখন থেকে আরও ওপরে ব্যাট করতে পারেন ধোনি।
কিন্তু এখন পর্যন্ত ধোনি মুখে কুলুপ এঁটেই আছেন।