• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    তিন জন পেসারের সঙ্গে মিরাজ খেলুক

    তিন জন পেসারের সঙ্গে মিরাজ খেলুক    

    কেমন হবে প্রথম টেস্টের জন্য বাংলাদেশ দল? বেসিন রিজার্ভের উইকেট কি ব্যাটসম্যানদের জন্য বধ্যভূমিই হবে? কোন তিনজন পেসারের সুযোগ পাওয়া উচিত? ওয়ানডে-টি টোয়েন্টির হতাশা ঝেড়ে ফেলতে বাংলাদেশকে কী করতে হবে? প্যাভিলিয়নে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল


     

    চার পেসার না তিন পেসার?

    ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভ শুরুর দিকেই পেসার বান্ধব থাকবে। তবে আমার মনে হয় আমাদের তিন জন পেসার নিয়েই নামা উচিত। সেক্ষেত্রে তাসকিন, রুবেল ও শুভাশীষ সুযোগ পেতে পারে। তাসকিন, রুবেল সফরে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছে। শুভাশীষও যে ম্যাচে সুযোগ পেয়েছে খারাপ করেনি। এই তিনজনের সঙ্গে আমার মনে হয় মিরাজকে নামানো উচিত। আর সাকিব তো আছেই।

     

    তাসকিনকে খেলানো কি ঝুঁকি?  

    অনেক দিন থেকেই সে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেনি। এটা আসলে দুই দিক দিয়েই একটা ঝুঁকি। তাসকিন এতোদিন তিন বা চার ওভারের স্পেল করেছে। কিন্তু এখন ওকে ছয় বা সাত ওভারের স্পেল করতে হতে পারে। সেটা একটা ঝুঁকি। আর এতোদিন ছোট পরিসরে সে খেলেছে, হঠাৎ করে বড় পরিসরে সুযোগ দিলে সেটা সে সামলাতে পারবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। এখানে আমার মনে হয়, আল আমিনকে দলে রাখা যেত। তার শৃঙ্খলাগত সমস্যার কথা আমরা জানি, কিন্তু তারপরও বাকিদের চেয়ে সে ভালো বিকল্প হতে পারত বলে আমার বিশ্বাস।  

     

    সাতে নামুক সাব্বিরই

    দুই ওপেনার তামিম, ইমরুল; এরপর মুমিনুল, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, সাকিবের পর সাতে আমার মনে হয় সাব্বিরকেই নামানো উচিত। ইংল্যান্ডের সঙ্গে সে বেশ ভালো করেছে, প্রথম টেস্টে জয়ের কাছাকাছিও নিয়ে গিয়েছিল। তবে কন্ডিশন যদি বাড়তি একজন সিম বোলার দাবি করে তাহলে সৌম্যের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

     

    উইকেট কেমন হবে?

    এই বেসিন রিজার্ভেই বক্সিং ডে টেস্টে আমি একবার খেলেছিলাম। সেই টেস্টে প্রথম দিনের সকাল থেকে আমি প্রায় ঘন্টা তিনেক ব্যাট করে ৪২ রানের একটা ইনিংস খেলেছিলাম। আমি বলব, এখানে উইকেটের চেয়েও বাতাস কোন দিক দিয়ে আসে সেটা বোঝাটা জরুরি। এখানে কিন্তু স্পিনাররা তৃতীয় দিন থেকে কিছুটা সাহায্য পাবে। পরের দিক থেকেই উইকেট স্লো হওয়া শুরু কবে। নিউজিল্যান্ডের অন্য উইকেটে যেটা খুব একটা দেখা যাবে না। আমি বলব, এখানে বাংলাদেশের জয়ের জন্যই চেষ্টা করা উচিত। একটা হান্ড্রেড, দুইটা ফিফটি, কয়েকটা ভালো ইনিংস হলেই ৪০০ রান হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যে কোনো কিছুই হতে পারে। টসটা তাই এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর একটা ব্যাপার এই পুরো সফরেই কিন্তু উইকেটে সুইং জুজু খুব বেশি ছিল না। উইকেটে স্লো বাউন্স ছিল, সুইং তেমন একটা ছিল না। ওদের ফাস্ট বোলাররা যেটা থেকে ফায়দা নিয়েছে। সাড়ে চার ইঞ্চি ব্যাটে দুই ইঞ্চি সুইং হলেই কিন্তু হয়। এখানে শট সিলেকশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সুইংটা থাকবে অল্প, সেটা ব্যাটসম্যানদের জন্য একটা ফাঁদও হতে পারে। পিচ কিন্তু ঠিক পুরোপুরি ফ্ল্যাট থাকবে না, কিন্তু ওই সুইংটুকুই আমাদের ব্যাটসম্যানদের সামাল দিতে হবে।

     

    শরীরী ভাষা কেমন হওয়া উচিত?

     আমাদের মাথায় রাখতে হবে, যা হওয়ার সেটা হয়ে গেছে। টি টোয়েন্টি আর ওয়ানডেতে যা হয়েছে,  সেটা এখন ভুলে যেতে হবে। এখন টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব সেই জিনিসটা ভুলিয়ে দেওয়া। আর অনেক দিন ধরে এখানে আছি, কিছুটা মানিয়েও নিয়েছি। এখন আমরা একটা ১৪ বা ১৫ জনের দল নিয়ে আছি, যেটা কোচ বা ম্যানেজারের জন্য সামাল দেওয়া সহজ হবে। ২২ জনের দলকে সামলানো তো অনেক কঠিন।

     

    ২০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আছে বোলারদের?

    অনেকেই বলছে, মুস্তাফিজ না থাকায় আমাদের বোলিং বড় একটা ধাক্কা খেয়েছে। আমি কিন্তু মনে করিয়ে দিতে চাই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুস্তাফিজকে ছাড়াই আমরা ৪০ উইকেট নিয়েছি। আমাদের বোলারদের ওপর আশা রাখতে হবে, এই কন্ডিশনেও তারা কার্যকরী হতে পারে।