• নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ
  • " />

     

    প্রথম ইনিংসেই খেই হারিয়ে ফেলতে চান না মুশফিক

    প্রথম ইনিংসেই খেই হারিয়ে ফেলতে চান না মুশফিক    

    হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়ে প্রথম ওয়ানডেতেই ছিটকে পড়েছিলেন। এরপর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দর্শক হয়েই দেখতে হয়েছে একের পর এক ভরাডুবি। টেস্টে ফিরে এবার দলের কাছ থেকে লড়াই আশা করছেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের বিশ্বাস, সেই সামর্থ্য তাদের আছে।

    ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বেশ কয়েকবার আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। বেসিন রিজার্ভে টেস্টের পরীক্ষাটা আরও কঠিন হওয়ার কথা। মুশফিকও জানেন, সুযোগ পেলেই সেটা কাজে লাগাতে হবে তাদের, "আমাদের পুরো সামর্থ্যটা মাঠে অনূদিত করে দেখাতে হবে। সেশন বাই সেশন খেলতে হবে। কাজটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। সুযোগ আসলে সেটা লুফে না না পারলে ফেরাটা কঠিন হয়ে যায়।”

    মুশফিক মনে করিয়ে দিলেন, নিউজিল্যান্ডের মাঠে অনেকেরই  ব্যক্তিগত সাফল্য আছে, “এখানে তামিমেরও রান আছে, সাকিব, রিয়াদ ভাই সেঞ্চুরি করেছে। এখানে আমাদের ভালো ভালো স্মৃতি আছে। কিন্তু দল হিসেবে ভালো খেলতে পারিনি।  সেটা করতে পারলে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসত।”

    তবে প্রথম দিনেই যেন বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে না যায়, মুশফিক সেটাই মনে করিয়ে দিলেন, "এখানে ব্যাটসম্যানদেরই চ্যালেঞ্জই সবচেয়ে বেশি। আমরা চাইব টেস্টে যতটা সময় ম্যাচে ভালোভাবে টিকে থাকা যায়, ওদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যায়। প্রথম ইনিংসেই কিছু হয়ে গেলে সমস্যা। ওয়ানডে টি টোয়েন্টিতে আমরা ভালো ব্যাটিং করেও ভালো করতে পারিনি। এখানে বাতাসের অনেক বড় একটা ব্যাপার। প্রথম ইনিংসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি সবকিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার।”

    সাদা পোশাকের সর্বশেষ স্মৃতিটা অবশ্য বাংলাদেশকে বাড়তি প্রেরণা যোগাতে পারে। মিরপুরে ইংল্যান্ডকে হারানোর ওই স্মৃতি তো এখনো টাটকা। তবে মুশফিক সেটা খুব বড় করে দেখছেন না, "ইংল্যান্ডে জয়ের পরেই কিন্তু আমরা টেস্টে বড় হয়ে যাইনি। ওরকম কন্ডিশনে যে কারও জন্যই আমাদের সঙ্গে খেলা কঠিন। কিন্তু বিদেশে ব্যাপারটা আলাদা। আমি বরং গত বেশ কিছুদিনে দেশের বাইরে ধারাবাহিকতা একটু হলেও যাতে রাখতে পারি, সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।”

    বেসিন রিজার্ভে সেই আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনাটাই হবে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।