ক্রোকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় টেলর
দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে রেকর্ডটা আগলে রেখেছেন কিংবদন্তী কিউই ক্রিকেটার মার্টিন ক্রো। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এখনও পর্যন্ত টেস্টে সবচেয়ে বেশী ১৭টি শতকের মালিক প্রয়াত হয়েছেন গত বছর। বহু বছর পর তাঁর একক মালিকানায় ভাগ বসাতে যাচ্ছেন রস টেলর। ১৬টি টেস্ট শতক নিয়ে কাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নামবেন ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। তবে বেসিন রিজার্ভের সবুজ উইকেটে সে কাজটা কতোটা সহজ হবে বলা কঠিন।
এমন উইকেট অবশ্য ওয়েলিংটনের সাম্প্রতিক টেস্টগুলোয় নিয়মিত দৃশ্যই হয়ে দাঁড়িয়েছে। আউটফিল্ড থেকে পিচ আলাদা করাটাই যেখানে দায়, দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানটিরও সেখানে ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ থেকে যায়। যে কোনো পেস বোলারের কাছেই যে এমন উইকেট স্বর্গতুল্য সেটা তো বুঝিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদও, “বোলাররা তো অবশ্যই খুশী। এমন সবুজাভ, শক্ত উইকেটে বল করতে ভালো লাগবেই। আমরা উপভোগই করতে যাচ্ছি।”
বোলারদের জন্য উপভোগ্য মানেই তো ব্যাটসম্যানদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এমন উইকেটে ক্রোর রেকর্ড স্পর্শ করার ব্যাপারে রস টেলর কী ভাবছেন? জবাবটা এলো খানিক রসিকতা করেই, “যা ভাববার তো লোকজনই ভেবে ফেলছে। এমনকি সুপারমার্কেটে গেলেও লোকে এসে মনে করিয়ে দিচ্ছে!”
তবে টেলর নিজে ব্যাপারটা নিয়ে অত বেশী চিন্তা করছেন না, “ক্রোর রেকর্ড ভাঙার তাড়নাটুকু আমি অনুপ্রেরণা হিসেবেই নেই। এই মুহুর্তে আমি আমার খেলার অবস্থা নিয়ে যথেষ্ট খুশী। ভালো খেললে শতক আসতেও পারে, না-ও আসতে পারে। তবে আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটাই আমার লক্ষ্য।”
প্রতিকূল পরিবেশ বাংলাদেশের কাজটা কঠিন করে তুলবে স্বীকার করলেও টেলর বলছেন সবুজ উইকেট দু’ দলের সামর্থ্যের ব্যবধান কমিয়ে দিতে পারে অনেকটাই, “গত ক’ বছরে তাঁরা (বাংলাদেশ) দেশের বাইরে খুব বেশী টেস্ট খেলে নি। এমন উইকেটে খেলাটা তাই তাঁদের জন্য কঠিনই হবে। তবে তাঁদেরকে হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি নিশ্চিত তাঁদের পেস বোলারদেরও জিভে জল আসছে। আসলে উইকেটে সবুজ ঘাস দু’ দলের ব্যবধানটা কমিয়ে দেয়।”