দিনশেষে 'অল্প'-র আফসোস
সুযোগ এসেও যেন এলো না। সামনে পড়লো ক্যাচ, ব্যাটের কানা ছুঁতে গিয়েও ফাঁকি দিল বল। ফাঁকি দিল কখনও স্ট্যাম্পকেও। রিভিউ কাজে লাগলো না অল্পের জন্য। তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিংয়ের চালচিত্র এটিই। 'অল্প একটু'র আফসোস। ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিউজিল্যান্ডের। বাংলাদেশ এগিয়ে ৩০৩ রানে।
অথচ এ সেশনের শুরুটাও হয়েছিল আশা দিয়েই। চা-বিরতির পরপরই দারুণ খেলতে থাকা রস টেলরকে শর্ট বলে ফেরালেন কামরুল ইসলাম। এলেন হেনরি নিকোলস। ল্যাথামের সাথে তিনিও গড়লেন অর্ধশত রানের জুটি, যেমন গড়েছিলেন আগের তিনজন। দিনের শেষে ল্যাথাম-নিকোলসের জুটি দাঁড়িয়েছে ৮৭ রানে। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পেয়েছেন টম ল্যাথাম, অপরাজিত আছেন ১১৯ রানে।
৫৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণার পর তিন সেশনে তিনটি উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ, তবে পাল্লা দিয়ে কিউই ব্যাটসম্যানরাও যোগ করেছেন রান। উইলিয়ামসন ফিফটি পেয়েছেন, টেলর খেলেছেন চল্লিশের ইনিংস। কামরুল-রাব্বী-শুভাশীসের পেস বা সাকিব-মিরাজের স্পিন সুযোগ তৈরী করেছে, তবে কাজে আসেনি সবগুলো। সফল বোলার তাই রাব্বী ও তাসকিনই।
তবে ওই ‘অল্প-মাঝারি-বেশী’ সুযোগগুলো কাজে আসলে স্কোরকার্ডের চেহারাটা ভিন্ন হতে পারতো, বদলে যেতে পারতো তৃতীয় দিনের ছবিটাও।
চতুর্থ দিনে কি হবে তেমন কিছু?