চোট আর আত্মহননে বাংলাদেশের দুঃস্বপ্নের বিকেল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চতুর্থ দিন শেষে
বাংলাদেশ ৫৯৫/৮ ও ৬৬/৩
নিউজিল্যান্ড ৫৩৯ (ল্যাথাম ১৭৭; রাব্বি ৩/৮৭)
সকালের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। মধ্যে আশার সূর্যের ফাঁকে মেঘের আনাগোনা থাকলেও খুব একটা জমতে পারেনি। কিন্তু দিনের শেষ বেলায় বাংলাদেশ যেন অশনী সংকেত দেখছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের লিড ১২২ রানের, পঞ্চম দিনের সকালে আরেকটি ব্যাটিং ধস হতো ডেকে আনতে পারে অপ্রত্যাশিত এক হার।
স্কোরকার্ড ৩ উইকেট দেখাচ্ছে, তবে আসলে বাংলাদেশ সম্ভবত ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। ১৩তম ওভারে একটা সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন ইমরুল। কিন্তু সেটা করতে গিয়েই বুকের পেশীতে পান মারাত্মক চোট। সেটা এমনই কালান্তক হলো, পরে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারলেন না। স্ট্রেচারে করেই মাঠ ছাড়তে হলো। বাংলাদেশের রান তখন বিনা উইকেটে ৪৬।
কিন্তু ইমরুলের ওই দুর্ভাগ্য গোটা দলের জন্যই যেন ডেকে আনল বিপর্যয়ের বার্তা। যদিও পরের তিনটি আউটে যতটা না কিউই বোলারদের অবদান, তার চেয়েও বেশি দায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। মিচেল স্যান্টনারের একটু নিচু হয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেছেন তামিম ইকবাল। কাগজে কলমে ৫০ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
তবে মাহমুদউল্লাহর আউটের জন্য নিজেকে শাপশাপান্ত করতেই পারেন। প্রথম ইনিংসে বড় কিছু করতে পারেননি, দ্বিতীয় ইনিংসেও নেইল ওয়াগনারের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন। এরপর মুমিনুল হক নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দিনটা কাটিয়ে দেবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু মিরাজ এরপর স্রেফ উইকেটটা উপহার দিয়ে আসলেন। একটা অসম্ভব দুই রান নিতে গিয়ে স্যান্টনারের দারুণ এক থ্রোতে হয়ে গেলেন রানআউট। তার আগে নিউজিল্যান্ডকে ৫৩৯ রানে অলআউট করে যে সুখস্মৃতি ছিল বাংলাদেশের, সেটাও উবে গেছে অনেকটাই। একটাই স্বস্তি, ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কাল হয়তো দলের হালও ধরতে হতে পারে তাঁকে!