• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    ৬ বছর পর যুবরাজের শতক

    ৬ বছর পর যুবরাজের শতক    

    ২০১১ বিশ্বকাপে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পেয়েছিলেন টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার। ৪টি অর্ধশতকের সাথে সে আসরে তাঁর ব্যাটে ছিল একটি শতকও। ২৮ বছর পর ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা রেখে এরপর ২১ মাস ছিলেন দলের বাইরে। গত একদিনের বিশ্বকাপের স্কোয়াডেই জায়গা হয় নি। পুরো ৩ বছর উপেক্ষিত ছিলেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। সেই যুবরাজ সিং একদিনের ক্রিকেটে ভারতীয় দলে ফিরলেন রাজসিক এক ইনিংস খেলেই। লম্বা সময় পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে সুযোগ পেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই জানান দিলেন তিনি ফুরিয়ে যান নি। ‘১১ বিশ্বকাপের ছয় বছর পর পাওয়া শতরানের ইনিংসটিকে টেনে নিলেন দেড়শ’ পর্যন্ত। দিনের আরেক সেঞ্চুরিয়ান মহেন্দ্র সিং ধোনির সাথে তাঁর ২৫৬ রানের ৪র্থ উইকেট জুটিতে ভর করে ইংল্যান্ডের সামনে ৩৮২ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে ভারত।

     

     

    উইকেটে যখন এলেন, ২৫ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে আক্ষরিক অর্থেই ধুঁকছে স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডের হয়ে দিনের সফলতম বোলার ক্রিস ওকস টানা তিনটি ওভার মেডেন পেলেন, প্রথমটি আবার উইকেট মেডেন। মাঝে উইলির ওভার থেকে এলো ২ রান। এরই মাঝে জ্যাক বলকে এক ওভারে তিনবার সীমানাছাড়া করে ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়ে রাখেন যুবরাজ। তবে পরিস্থিতির কারণেই কিনা, পুরোপুরি হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না। অর্ধশতক এলো ৫৬ বলে, ৮টি চারে। ৭ চার আর ১ ছয়ে পরের ৫০ তুলে নিতে খেললেন ৪২ বল। শেষ অর্ধশত তুলে নিতে খেললেন মাত্র ২৯ বল, ৬ চার আর ২ ছয়ে। ক্রিস ওকসের ৪র্থ শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে যুবরাজ স্কোরবোর্ডে যোগ করলেন ১৫০ রান, ১২৭ বল থেকে, ২১ চার আর ৩ ছয়ে।

     

    যুবরাজের ১৪তম একদিনের আন্তর্জাতিক শতকের দিনে মহেন্দ্র সিং ধোনিও তুলে নেন নিজের ১০ম ওডিআই সেঞ্চুরি। ১২২ বলে তাঁর ১৩৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার আর ৬ ছয়ে। এ দুই ইনিংসের সুবাদে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩৮১ রান।