আক্রমণাত্মক বাংলাদেশ, সৌম্যর ফিফটি
বাংলাদেশ ১২৮-২ (সৌম্য ৬৪*, সাকিব ৩৯*, বোল্ট ১-২৭)
লাঞ্চ, প্রথম দিন, দ্বিতীয় টেস্ট
লাঞ্চের আগে শেষ ওভার। টিম সাউদির বলটা শরীর থেকে দূরে থাকতেই তাড়া করতে গেলেন সৌম্য। কোনো নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই, অঘটন ঘটলো না অবশ্য। তবে অঘটনের সুযোগটা দিলেন। পরের বলটা আরেকটু ফুললেংথে, এবার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই ঠেললেন কাভারে। এলো দুই রান।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম সেশনের চিত্রই এটি। নিউজিল্যান্ডকে সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ, পরেই আবার নিয়েছে নিয়ন্ত্রণ, আক্রমণের মাধ্যমে। রানরেট ৪.৭৪ , বাউন্ডারি ১৯টি। উইকেট দুইটি বাদ দিলে কে বলবেন, কেন উইলিয়ামসনই টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন!
হ্যাগলি ওভালের উইকেটেও ঘাস আছে, তবে শক্তভাবে আছে পেসও। উইলিয়ামসন তাই দুইবার ভাবেননি ফিল্ডিং নিতে। সাত রানের মধ্যেই অধিনায়ক তামিম ইকবালকে ফিরিয়েছেন টিম সাউদি, লেগ-সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে। মাহমুদুল্লাহ এসেছেন, তবে নড়বড়ে ছিলেন পুরোটা সময় জুড়েই। তিনটি বাউন্ডারি মেরে তাঁর অবস্থানটা শক্ত করতে চেয়েছিলেন, তবে বোল্টের ইনসুইংয়ে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়েই ফিরতে হয়েছে।
সৌম্য-সাকিবের ৯০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটা এরপরই। প্রথমদিকে সৌম্যও ছিলেন একটু নড়বড়ে, তবে শট খেলে খেলে থিতু হয়ে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। ফিফটির পরই দিয়েছিলেন সুযোগ, দ্বিতীয় স্লিপে জিট রাভাল ধরতে পারেননি ক্যাচ। সাকিব অপরাজিত আছেন ৩৯ রানে। সৌম্যর রান ৬৪।
৩৮ রানেই দুই উইকেট যাওয়ার পর এ জুটিই নিউজিল্যান্ডকে দেয়নি কন্ডিশনের পুরো সুবিধা তুলতে। বরং বাংলাদেশ ছিল আক্রমণাত্মক। আবার বাংলাদেশ ছিল নড়বড়েও! আক্রমণ দিয়েই থিতু হওয়ার চেষ্টায় কি সফল হবেন সব ব্যাটসম্যানই?