নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে নিউজিল্যান্ড
বাংলাদেশ ২২৫-৫ (নুরুল ৩৫*, নাজমুল ১৫*, বোল্ট ৩-৬৩)
টি, প্রথম দিন, দ্বিতীয় টেস্ট
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাকিব-মুশফিকের জুটিটা যেভাবে পথ দেখিয়েছিল বাংলাদেশকে, দ্বিতীয় টেস্টে সেটারই পুনরাবৃত্তি হতে পারতো সাকিব আর সৌম্যর ব্যাটে। ইনজুরির হানায় অনেকটাই বদলে যাওয়া এক ‘ভঙ্গুর’ বাংলাদেশ ক্রাইস্টচার্চে কতোটা লড়াই করতে পারবে সে শংকা ছিলই। সাকিব-সৌম্যর ১২৭ রানের জুটিতে যেন ভাঙতে শুরু করেছিল মাত্র। তবে সেটা খুব বেশীক্ষণ স্থায়ী হল না। উপর্যুপরি ওভারে বোল্টের জোড়া আঘাতের পর টিম সৌদি সাকিবকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে বেশ বিপাকেই ফেলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। তবে হ্যাগলে ওভালের প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি স্বাগতিকদের হতে দেন নি দুই অভিষিক্ত নুরুল হাসান সোহান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-এর আগ পর্যন্ত এ জুটির অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানে সফরকারীরা লড়ছিল ৫ উইকেটে ২২৫ রান নিয়ে।
লম্বা সময়ের ফর্মহীনতা কাটিয়ে এই সফরেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছন্দে ফিরেছিলেন সৌম্য। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটিটা তুলে নিয়ে সেটা ধরে রাখারই ইঙ্গিত দিলেন। তবে অর্ধশতকটা শতক হতে পারতো অনায়াসেই। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের ৬ষ্ঠ ওভারে বোল্টের ফুলার এগিয়ে এসে পুশ করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালেন, শর্ট কাভারে ভাসা বলটা তালুবন্দী করে তাঁকে ৮৬ রানেই থামিয়ে দেন গ্র্যান্ডহোম। এক ওভার বাদে সাব্বিরকে (৭) থিতু হওয়ার আগেই ফেরান বোল্টই, শর্ট বলে স্লিপে সাউদির ক্যাচ বানিয়ে। পরের ওভারে সাউদির লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যাওয়া ডেলিভারিটা অহেতুক ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তোলেন সাকিব, ক্যারিয়ারের কুড়িতম টেস্ট ফিফটিটা (৫৯) তুলে নেয়ার খানিক বাদেই।
২ উইকেটে ১৬৫ থেকে ৫ উইকেটে ১৭৯ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ইনিংসটা এরপর যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েই টেনে নিচ্ছেন দুই অভিষিক্ত নুরুল হাসান সোহান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। অবশ্য ইনিংসের শুরুতেই স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন নুরুল। জীবন পেয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষে নুরুল অপরাজিত আছেন ৩১ রানে, অপরপ্রান্তে নাজমুল খেলছেন ১৫ রানে।