ইডেন গার্ডেনসে ব্রাথওয়েট হতে পারলেন না যাদব
৪ ওভার থেকে দরকার ৪৩ রান। জাদেজা-যাদব ওকসকে ৩ বার সীমানাছাড়া করে নিয়ে নিলেন ১৬। ১৮ বল থেকে প্রয়োজন ২৭। বেন স্টোকসের দারুণ ওভারটা থেকে রান এলো মাত্র ৪, লেন্থ বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাঝে মিসটাইমিংয়ে ক্যাচ তুলে ফিরলেন অশ্বিন। জ্যাক বলের ৪৯তম ওভার থেকে এলো ৭। শেষতক সমীকরণটা দাঁড়ালো ৬ বলে ১৬। ইডেন গার্ডেনসে গত বছরের জানুয়ারির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতিটাই যেন ফিরে আসতে শুরু করেছিল। সেবার স্টোকসকে শেষ ওভারে ৪ ছয় মেরে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৯ রান তুলে নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ক্রিস ওকসকে পরপর ২ বলে চার আর ছয় মেরে সেটারই যেন পুনরাবৃত্তি করতে চলেছিলেন কেদার যাদভ। কিন্তু এরপর ৪ বলে ৬ রানের সহজ সমীকরণটাও আর সমাধান করা হয়ে উঠলো না তাঁর। শেষ ৪ বলের ৩টি থেকেই কোনো রান এলো না, মাঝে ৫ম বল থেকে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ তুলে ফিরে গেলেন যাদব। কঠিন ম্যাচটা সহজ করেও শেষ পর্যন্ত ৫ রানে হেরে গেলো স্বাগতিকরা। চলতি সফরে ভারতের মাঠে প্রথম জয়ের দেখা পেলো ইংল্যান্ড।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২১ রান করে ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে জেসন রয় সর্বোচ্চ ৬৫, বেন স্টোকস ৫৭ ও জনি বেয়ারস্টো ৫৬ রান করেন। ভারতের পক্ষে হার্ডিক পান্ডিয়া ৪৯ রানে ৩টি ও রবীন্দ্র জাদেজা ৬২ রানে ২টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারালেও বিরাট কোহলি আর যুবরাজ সিংয়ের ব্যাট ম্যাচে টিকিয়ে রাখে স্বাগতিকদের। কোহলি ৫৫ রান করে ফেরার পর যুবরাজ আউট হন ৪৫ করে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও যাদব-পান্ডিয়ার ১০৪ রানের জুটি জয়ের আশা বেশ ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রাখে ভারতের জন্য। তবে শেষতক স্নায়ুর যুদ্ধে জয়টা পান ইংল্যান্ডের বোলাররাই। ভারতের পক্ষে কেদার যাদব সর্বোচ্চ ৯০ ও পান্ডিয়া ৫৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে বেন স্টোকস ৬৩ রানে ৩টি এবং ওকস আর বল ২টি করে উইকেট নেন। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হন স্টোকস।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ ইংল্যান্ড ৩২১/৮, ৫০ ওভার (রয় ৬৫, স্টোকস ৫৭; পান্ডিয়া ৩/৪৯); ভারত ৩১৬/৯, ৫০ ওভার (যাদব ৯০, পান্ডিয়া ৫৬; স্টোকস ৩/৬৩)
ফলঃ ইংল্যান্ড ৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরাঃ বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)
সিরিজঃ ভারত (২) - (১) ইংল্যান্ড