চতুর্থ দিনেই হেরে গেল বাংলাদেশ
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২৮৯ ও ১৭৩ (মাহমুদউল্লাহ ৩৮, সৌম্য ৩৬, তাসকিন ৩৩; ওয়াগনার ৩/৪৪, সাউদি ৩/৪৮, বোল্ট ৩/৫২)
নিউজিল্যান্ড ৩৫৪ ও ১১১/১ (ল্যাথাম ৪১*, গ্র্যান্ডহোম ৩৩*, রাভাল ৩৩; রাব্বি ৩/২১)
ফলঃ নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী
চতুর্থ দিনের চা বিরতির আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি, এই টেস্টেও বাংলাদেশের হারটা সময়ের ব্যাপার। পঞ্চম দিন পর্যন্ত খেলা গড়াবে কি না, সেটারই ছিল অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ দিনেই কাজটা সেরে ফেলল নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১০৯ রানের লক্ষ্যটা পেরিয়ে গেল ৯ উইকেট হাতে রেখেই। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পর টেস্ট সিরিজেও ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ।
দুই পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তাসকিন আহমেদ না থাকলে পরাজয়ের জন্য শেষ বিকেল পর্যন্তও বোধ হয় অপেক্ষা করতে হতো না। তবে দুই পেসার বল নয়, ব্যাট হাতেই বাংলাদেশকে মুখ দেখানোর মতো একটু পুঁজি এনে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন বড় বিপর্যয়ে, সেখান থেকে ৫১ রানের জুটিতে রাব্বি-তাসকিন বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত এনে দিয়েছেন ১৭৩ রানের জুটি। নবম উইকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১০৪ রানের জুটিও আছে, তাসকিন-রাব্বির জুটিটা একটা সময় তার কাছাকাছি চলে যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বোল্ট ও সাউদি সেটা বেশিদূর যেতে দেননি। তার আগে অবশ্য কামরুল-তাসকিন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানদের লজ্জা দেওয়ার মতো কিছু শট খেলেছেন। ৩০ বলে ৩৩ রানের পথে দুইটি ছয় মেরেছেন তাসকিন, কামরুলের ২৫ রানের ইনিংসে ছয় ছিল একটি। এই উইকেটে যে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অকাতরে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন, সেটাই যেন দেখিয়ে দিলেন দুজন।
১০৯ রানের লক্ষ্যটা নিউজিল্যান্ড কত তাড়াতাড়ি টপকাতে পারে, সেটাই ছিল দেখার বিষয়। দুই ওপেনার জিট রাভাল ও টম ল্যাথাম শুরু থেকেই নিশ্চিত করতে চেয়েছেন, ম্যাচটা যেন শেষ দিনে না যায়। রাভালকে আউট করে রাব্বি এনে দিয়েছেন বাংলাদেশের আনন্দের একমাত্র উপলক্ষ। তবে তিনে উঠে এসে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম খেলা শেষ করতে খুব সময় নেননি। ১৫ বলে ৩৩ রান করে মাত্র ১৮.৪ ওভারেই এনে দিয়েছেন ৯ উইকেটের জয়। দুই ইনিংস মিলে ৮ উইকেট নিয়ে টিম সাউদি হয়েছেন ম্যাচসেরা।