• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    ভাগ্য ও বুমরার কাছে হেরে গেল ইংল্যান্ড

    ভাগ্য ও বুমরার কাছে হেরে গেল ইংল্যান্ড    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর 
    ভারত ২০ ওভারে ১৪৪/৮ (রাহুল ৭১; জর্ডান ৩/২১)
    ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ১৩৯/৬ (রুট ৩৮, স্টোকস ৩৮; নেহরা ৩/২৮, বুমরা ২/২০)
    ফলঃ ভারত ৫ রানে জয়ী 


    স্কোরকার্ড বলছে, রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা হেরে গেছে ইংল্যান্ড। তবে স্কোরকার্ড বলছে না, শেষ ১৮ বলে ৬ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ২৭ রান নিতে পারেনি ইংল্যান্ড। স্কোরকার্ড বলছে না, নিজের শেষ দুই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে একাই ম্যাচটা জিতিয়ে দিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরা। স্কোরকার্ড এও বলছে না, আম্পায়ারের দুইটি সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে না গেলে ম্যাচের ফলটা হতে পারত অন্যরকমও। 


    আসলেই তো ইংল্যান্ডের জয় না পাওয়াটা অবিশ্বাস্যই। শেষ ৩ ওভারে ক্রিজে ছিলেন জো রুট ও বেন স্টোকস, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও জয়টা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে ইংল্যান্ড। বুমরা ১৮তম ওভারে দিলেন ৩ রান, ম্যাচটা আবার সমতায়। কিন্তু নেহরার ১৯তম ওভার থেকে এলো ১৫, জস বাটলার ম্যাচটা আবার ইংল্যান্ডের মুঠোয় নিলেন।

     
    শেষ ওভারে দরকার মাত্র ৮ রান, স্ট্রাইকে রুট। কিন্তু বুমরার প্রথম বলেই হয়ে গেলেন এলবিডব্লু। কিন্তু ব্যাটে লাগার পরিষ্কার শব্দটা আম্পায়ার শুনতে পেলেন না, রুট মাথা নাড়তে নাড়তে মাঠ ছাড়লেন। পরের বলে মঈন নিলেন এক রান, ক্রিজে বাটলার। কিন্তু পরের বলটা ডট দেওয়ার পর চতুর্থ বলে বোল্ডই হয়ে গেলেন বাটলার। শেষ দুই বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেনি ইংল্যান্ড। ভারত পেয়ে গেল অবিশ্বাস্য এক জয়। 


    তবে ভারতের ইনিংসেও আউটের সিদ্ধান্ত গেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জর্ডানের বলে পরিষ্কার এলবিডব্লু হয়েছিলেন কোহলি, কিন্তু আম্পায়ার শামসুদ্দিন কেন যেন আউট দিলেন না। কোহলি শেষ পর্যন্ত ২১ রানে আউট হয়ে গেছেন, তবে তার আগে ভারতের ইনিংসে দিয়ে গেছেন গতি। পরে অবশ্য লোকেশ রাহুলকে কেউ তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি, ভারতও দেড়শ ছুঁতে পারেননি। তবে কে জানত, সেই রানটাই যথেষ্ট হয়ে যাবে ম্যাচশেষে।