যোগ্য দল হিসেবেই শ্রীলঙ্কার জয়
দুই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেয়ে প্রত্যাশা বেড়ে হয়েছিল কয়েকগুণ, খারাপ সময় পার করা শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে আরও দুটো পয়েন্ট কেড়ে নিয়ে পাঁচ পয়েন্টের আশা যারা করেছিলেন, বড় ধরনের ঝাঁকিই খেতে হয়েছে তাঁদেরকে। বিপরীত চিত্র প্রদর্শন করে উল্টো নিজেদের ফর্ম ফিরে পাবার মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দল।
৯২ রানের পরাজয়ের ব্যবধানই বলে দেয়, ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই যথেষ্ট পার্থক্য বিরাজমান ছিল আজ দুটো দলের মধ্যে। বাংলাদেশের রান তাড়ার সময়টায় বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান যেমন উঠেছে, আবার উইকেটের আগমনও হয়েছে ঘন ঘন। দু-তিনটে ছোট ছোট পার্টনারশিপ সাঙ্গ করে তো আর ৩৩৩ রানের মত বড় সংগ্রহ তাড়া করে জেতা সম্ভব হয় না। ম্যাচশেষে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখতে হয় সাব্বিরের ৫৩ রানের ইনিংসটাই ছিল বাংলাদেশের পক্ষে সর্বাধিক।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংটা ছিল পুরোপুরিই বিপরীত মেরুর দৃশ্য। দিলশান(১৬১*) ও সাঙ্গাকারার(১০৫*) ২১০ রানের জুটিটাই ঠিক করে দিয়েছে ম্যাচের গতিপথ। নিজেদের ইনিংসের ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেট’-এর মতই দৃষ্টিকটু লেগেছে ফিল্ডিংয়ের সময় বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ক্যাচ মিসের মহরা। প্রভাব বিস্তার করে বল করতে সক্ষম হয়েছেন একমাত্র মাশরাফি, তারপরও শেষ দিকে গিয়ে তাঁর ইকোনমিও বেড়ে গেছে দিলশান-সাঙ্গাকারার ‘পাওয়ার হিটিং’-এর সুবাদে। ছবি-সৌজন্যঃএএফপি