• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    পাত্তাই পেল না ক্যারিবিয়ানরা

    পাত্তাই পেল না ক্যারিবিয়ানরা    

    গত ম্যাচটাতেই রুদ্র ঝড়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের উড়িয়ে দিয়েছেন তাদের এক ব্যাটসম্যান, আজ উড়ে যাবার পালা ছিল তাদেরই। অবশ্য ঝড় সৃষ্টিকারী ব্যক্তির স্বরূপ ক্যারিবিয়ানদের অতি পরিচিত, ক’দিন আগেই তাদের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ডি ভিলিয়ার্স নামক ঐ ব্যক্তির রেকর্ড ভাঙ্গার আরও একটি দিন ছিল আজ।

     

     

    ম্যাচটাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলতে ছিল না কিছুই, দক্ষিণ  আফ্রিকার দেয়া ৪০৯ রানের লক্ষ্যটা পর্বতপ্রমাণ অবশ্যই, তবে ক্যারিবিয়ানদের মধ্যে একবারও রানটা তাড়া করার প্রয়াস দেখা যায়নি। ব্যাটিংয়ে নামার পর ইমরান তাহিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সঙ্গে পেসারদের সম্মিলিত পারফরমেন্স যোগ হলে ১৫১ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বোচ্চ ৫৬ রান এসেছে অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের ব্যাট থেকে, যিনি মূলত একজন পেসার। ৪৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন লেগস্পিনার ইমরান তাহির।

     

    প্রোটিয়াদের  ইনিংসটাকে ভাগ করা যায় দু’ভাগে- প্রথম ৩০ ওভার(১৪৭ রান), হাশিম আমলা ও ফ্যাফ ডু প্লেসিস মিলে যে সময়টায় একটা সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছেন ইনিংসটাকে; এবং শেষ ২০ ওভার(২৬১ রান), যে পর্যায়টাকে বলা যায় ‘ডি ভিলিয়ার্স’ নামক এক-তুফান প্রহর। ৬৬ বলে হার না মানা ১৬২ রানের ইনিংসটা রেকর্ড ভেঙেছে অগুনতি, ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম দেড়শ’ রান যেগুলোর মধ্যে অন্যতম। অবশ্য ঐ সময়টাতে ডি ভিলিয়ার্সকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন রিলি রুশো।