কিউইদের সহজ জয় কঠিন হল স্টার্কে
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ অস্ট্রেলিয়া ১৫১/১০, ৫০ ওভার (হাডিন ৪৩, ওয়ার্নার ৩৪; বোল্ট ৫/২৭); নিউজিল্যান্ড ১৫২/৯, ২৩.১ ওভার (ম্যাককালাম ৫০, উইলিয়ামসন ৪৫; স্টার্ক ৬/২8)
ফলঃ নিউজিল্যান্ড ১ উইকেটে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচঃ ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)
ফর্মের তুঙ্গে থাকা কিউইদের যে তাঁদের মাঠে হারানোটা এখন কার্যত অসম্ভব সেটা বললে খুব বাড়িয়ে বলা হয় না। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন অস্ট্রেলিয়া তখন জয়টা যে বিনা যুদ্ধে আসার নয় সেটাও বলা বাহুল্য। ১৫১ রানের মামুলি পুঁজি নিয়েও তাই অসিরা লড়ে গেলো। শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটের পরাজয় হয়ত ক্লার্কদের জন্য আর ক’টা রানের আক্ষেপ হয়েই থাকবে।
অথচ অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা কিন্তু ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২.১ ওভারে ৩০ রান তুলে ফিঞ্চ-ওয়ার্নার জুটি বড় সংগ্রহের পথে যাচ্ছিলেন। ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফিঞ্চ ফিরে গেলে ওয়ার্নারের সঙ্গি হয়ে সংগ্রহটা ১৩ ওভারে ৮০-তে নিয়ে যান শেন ওয়াটসন। অসি বিভীষিকার শুরুটা সেখানেই। সাউদি, ভেট্টরির পর বোল্টের তোপের মুখে স্মিথ, ক্লার্ক, ম্যাক্সওয়েল, মার্শ কেউই উইকেটে থিতু হবার সুযোগটুকুই পেলেন না। ফলশ্রুতে ১ উইকেটে ৮০ রানের সংগ্রহটা খানিক বাদে ৯ উইকেটে ১০৬!
বিশ্বকাপের মাঠে নিজেদের সর্বনিম্ন ১২৯ রানের সংগ্রহটা অস্ট্রেলিয়া পেরোতে পারবে কিনা এ নিয়েই তখন সংশয়। তবে শেষ উইকেট জুটিতে টেল এন্ডার প্যাট কামিন্সকে সঙ্গি করে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্র্যাড হাডিনের ৪৫ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়াকে মোটামুটি লড়াই করার মতো ১৫১ রানের পুঁজি এনে দেয়। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট ১০ ওভার বল করে ২৭ রানের বিনিময়ে নেন ৫টি উইকেট। টিম সাউদি ও ডেনিয়েল ভেট্টরি নেন ২টি করে।
জবাবে ম্যাককালামের ঝড়ো অর্ধশতকে কিউইদের জয়টা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল। ব্যক্তিগত ৫০ রানেই ম্যাককালাম যখন কামিন্সের বলে স্টার্কের তালুবন্দী হন কিউই স্কোরবোর্ডে তখন ২ উইকেটে ৭৯ রান।
টেলর, এলিয়টকে পরপর দু’ বলে ফিরিয়ে সেটাই ৭৯/৪ করে দেন মিচেল স্টার্ক। উইলিয়ামসন-অ্যান্ডারসনের দৃঢ়তায় সে বিপর্যয়ও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়। দলীয় ১৩১ রানের মাথায় অ্যান্ডারসন (২৬) ম্যাক্সওয়েলের শিকারে পরিণত হলে আবার উত্তেজনা দানা বাঁধতে শুরু করে। মিলনে, সাউদিকে পরপর দু’ বলে ফিরিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা জাগান মিচেল স্টার্ক। নিউজিল্যান্ড তখন ১৪৬/৯।
নাটকীয়ভাবে বদলে যাওয়া সমীকরণে শেষ পর্যন্ত জয়টা কিউইদের পক্ষেই থাকে উইলিয়ামসনের অসামান্য দৃঢ়তায়। তিন নম্বরে নেমে এক প্রান্ত আগলে খেলে অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে। ৯ ওভার বল করে ২৮ রানের বিনিময়ে স্টার্কের সংগ্রহ ৬টি উইকেট।