লিভারপুলের বে'হাল' দশা!
দুঃসময়টা যেন পিছুই ছাড়ছে না লিভারপুলের। নতুন বছরে ৯টি ম্যাচ খেলে ফেললেও জয় পেয়েছে মাত্র ১টিতে, তাও আবার তৃতীয় বিভাগের দল প্লাইমাউথের বিপক্ষে। সিটি, আর্সেনালকে হারালেও সান্ডারল্যান্ড, সোয়ানসির মত অবনমনের আশঙ্কায় থাকা দলগুলোর বিপক্ষে পয়েন্ট খুইয়েছে লিভারপুল। লিগ টেবিলের ১৮তম স্থানে থাকা হাল সিটির মাঠ বিপক্ষেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে লিভারপুলকে। নতুন কোচ মার্কো সিলভার অধীনে গত সপ্তাহে ইউনাইটেডের মাঠে ড্র করে হাল আজ বেহাল করে দিল লিভারপুলকেই। চলতি লিগ মৌসুমে মাত্র ৪ ম্যাচ জেতা হাল সিটির বিপক্ষে ২-০ তে হেরে গেছে লিভারপুল।
লিভারপুলের এই ফর্মহীনতার মূল কারণ হিসেবে অনেকেই সাদিও মানের অনুপস্থিতিকেই চিহ্নিত করেছেন। আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস শেষে মানে ফিরলেও অবশ্য হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি লিভারপুল। প্রথমার্ধে হাল সিটির ডিফেন্ডাররা রীতিমত বোতলবন্দীই করে রেখেছিলেন কৌতিনহো, ফিরমিনোদের। কোউতিনহো, মাতিপের দুটি বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ছাড়া প্রথমার্ধে তেমন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ‘অল রেড’রা। উল্টো ৪৪ মিনিটে সেই মিনিওলের ভুলে পিছিয়ে পড়ে ক্লপের দল। লিভারপুল কিপারের ভুলে মৌসুমে নিজের প্রথম গোল করেন আলফ্রেড এন’দিয়ায়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মানের নেতৃত্বে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে লিভারপুল। কিন্তু গোলশোধ করতে পারেনি ‘অল রেড’রা। এক্ষেত্রে অবশ্য হাল কিপার ইয়াকুপোভিচের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। কৌতিনহো, হেন্ডারসন, স্টারিজের তিন তিনটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা দক্ষহাতে রুখে দিয়েছেন এই কিপার। ওদিকে ৮৪ মিনিটে লিভারপুলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন উমার নিয়াস। ইয়াকুপোভিচ না থাকলে অবশ্য ফলাফলটা অন্যরকমও হতে পারতো। কিন্তু শেষমেশ আবারো খালি হাতেই ফিরতে হয় লিভারপুলকে।
১৯৫৪-এর পর এবারই প্রথম নতুন বছরের প্রথম ৫ টপ ফ্লাইট (লিগ, কাপ) ম্যাচে জয়হীন থাকলো লিভারপুল। ২৪ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে ৪র্থ স্থানে থাকলো ক্লপের দল। ম্যানসিটি আগামীকাল সোয়ানসিকে হারাতে পারলে ৫ম স্থানে নেমে যাবে লিভারপুল। দিনের প্রথম খেলায় আর্সেনালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে কন্তের চেলসি।
আর্সেনালের হারের সুযোগে নর্থ লন্ডনের প্রতিদ্বন্দ্বীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে টটেনহ্যাম হটস্পার্স। মারুসিও পচেত্তিনোর দল মিডলসবরোকে হারিয়েছে ১-০ গোলে। ৫৮ মিনিটে হ্যারি কেনের করা পেনাল্টি থেকে আসে জয়সূচক গোলটি। ৫০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে স্পার্স।