নিজেদের ঝালাই করলেন মুশফিক-সৌম্যই
স্কোর ১ম দিন শেষে
বাংলাদেশ ৬৭ ওভারে ২২৪/৮ ডিক্লে. (মুশফিক ৫৮, সৌম্য ৫২; চৌধারি ৪/২৬ )
ভারত এ ১৮ ওভারে ৮৩/১ (পাঞ্চাল ৪০, আয়ার ২১; শুভাশীষ ১/১১)
মাত্রই নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ফিরেছে দল। তবে কন্ডিশন, উইকেট সবকিছুই একেবারে অন্যরকম। প্রথম দিনে সেই খাপ খাইয়ে নেওয়ার কাজটা খুব ভালোভাবে করতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের এ দলের সঙ্গে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে শুধু সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমই নিজেদের ঝালাই করে নিতে পেরেছেন।
হায়দরাবাদের জিমখানা মাঠে টসে জিতেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য মুশফিককে বেশি ভাবতে হয়নি। প্রস্তুতি ম্যাচ বলে মূল দলের ১১ জনই ব্যাট করার সুযোগ পেতেন। তবে আজ সাকিব আল হাসান দলে ছিলেন না। বাকি সবাই-ই সুযোগ পেয়েছেন ব্যাট করার।
সেই শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। চোট থেকে ফিরে মাত্র ৪ রান করেই ফিরে গেছেন ইমরুল কায়েস। সৌম্য সরকার নিউজিল্যান্ডেই পুরনো ফর্মে ফেরার ঝলক দেখিয়েছিলেন, আজও হেসেছে তাঁর ব্যাট। ওয়ানডে মেজাজেই ব্যাট করেছেন, আউট হওয়ার আগে ৭৩ বলে করেছেন ৫২। এর মধ্যে ৪২ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে, নয়টি চার ও একটি ছয়।
তবে টপ অর্ডারে বাকিরা খুব সুবিধা করতে পারনেনি। ১৩ রানে আউট হয়ে গেছেন তামিম, মুমিনুলও ফিরে গেছেন ৫ রান করে। মাহমুদউল্লাহ নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর নিজেকে ফিরে পাওয়ার আভাস দিচ্ছিলেন, শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গেছেন ২৩ রান করে।
তবে অধিনায়ক মুশফিকের জন্য ম্যাচটা বড় প্রাপ্তিরই ছিল। চোটের জন্য ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট খেলতে পারেননি, আবার দলে ফিরে আগের সেই ঝলক দেখাচ্ছিলেন। সাব্বিরের সাথে ষষ্ঠ উইকেটে ৭১ রানের জুটিটাই পথ দেখিয়েছে বাংলাদেশকে। সাব্বির ৩৩ রান করে আউট হয়েছেন। মুশফিকও বেশিক্ষণ থাকেননি, ৫৮ রান করে বাঁহাতি পেসার অনিকের চৌধারির তৃতীয় শিকার হয়েছেন। ২০৭ রানে মুশফিকের বিদায়ের পর বাংলাদেশও আর বেশিক্ষণ খেলেননি। ভারত এ দলের হয়ে মূল ঘাতক ছিলেন চৌধারিই, তামিম, মুমিনুল, মুশফিকের পর ফিরিয়ে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজকেও। ফর্মে থাকা লিটন দাশ ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২২৪ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছেন মুশফিক।
ভারত এ দল শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছে। ১৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছে ৮৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেট নিয়েছেন শুভাশীষ রায়।