শফিউলদেরই খাটিয়ে নিল ভারত এ দল
স্কোর
বাংলাদেশ ২২৪/৮ ও ৭৩/২ (তামিম ৪২*, সৌম্য ২৫; কুলদীপ ২/২)
ভারত এ দল ৯০ ওভারে ৪৬১/৮ ( পাঞ্চাল ১০৩, শঙ্ক ১০৩*, আয়ার ১০০; শুভাশীষ ৩/৫৭, তাইজুল ৩/১৪১)
ফল: ম্যাচ ড্র
প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পরাজয়টা কখনোই মুখ্য নয়। তার ওপর দুই দিনের ম্যাচে ড্র ছাড়া অন্য কিছু হওয়াটাই বিস্ময়কর। তবে যে উদ্দেশে প্রস্তুতি ম্যাচ, তাতে কিছুটা অতৃপ্তিই রয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের। যতটা না বাংলাদেশের, তার চেয়ে বেশি ঝালাই তো ভারতের এ দলেরই হয়েছে। আজকের দিনেই তারা পেয়েছে তিন সেঞ্চুরি, জানান দিয়েছে হায়দরাবাদ টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে বড় পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে। তার পরও শেষ বেলায় একটু পাওয়া থেকে কিছুটা তৃপ্তি খুঁজে নিতে পারে বাংলাদেশ।
আগের দিন ১ উইকেটে ৯১ রান নিয়ে ইনিংস শুরু করেছিল ভারতের এ দল। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল ও শ্রেয়াস আইয়ার আজ সকাল থেকেই খেলেছেন দুর্দান্ত। দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি, পরে আহত অবসর হয়ে দুজনেই নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একটা সময় ২ উইকেটে ২০০ রান ছিল ভারত এ দলের, তখন মনে হচ্ছিল রানের পাহাড়েই চড়ে বসেছে।
সেটা বসেছেও, তবে তার আগে হয়ে গেছে অনেক কিছুই। পাঞ্চাল ও আইয়ারের আহত অবসরের পর বাংলাদেশের বোলাররা ভালোভাবেই ফিরে এসেছিলেন, ২০ রানের মধ্যে তুলে নিয়েছিলেন আরও ৪ উইকেট। শুভাশীষ আগের দিনই একটি উইকেট নিয়েছিলেন, আজ ফিরিয়ে দিয়েছেন ঋষভ পান্ট ও ইশাঙ্ক জাজ্ঞিকেও। তবে নবম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে আবার হতাশ করেছেন বিজয় শঙ্কর ও নিতিন সাইনি। দুজন মিলে যোগ করেছেন ১১৫ রান, শেষ পর্যন্ত ৪০২ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবাই কমবেশি খরুচে ছিলেন, মূল বোলারদের মধ্যে শুভাশীষ ছাড়া শফিউল, আবু জায়েদ, তাইজুল, মিরাজ ওভারপ্রতি অন্তত পাঁচের বেশি রান দিয়েছেন।
শেষ বেলায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের খুব বেশি অনুশীলনের সুযোগ ছিল না। তবে ১২ ওভারে সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ৩২ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে গেছেন সৌম্য, তামিম অবশ্য ৫৪ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। সৌম্য আউট হওয়ার পর মুমিনুল আউট হয়ে গেছেন প্রথম বলেই। ম্যাচও এরপর আর খুব বেশিক্ষণ হয়নি।