"হায়দরাবাদ বলেই এই টেস্টটা ঐতিহাসিক"
২০০০ সালের পর ২০১৭। এর মধ্যে কেটে গেছে ১৬টি বছর। অভিষেক টেস্টটা যাদের সঙ্গে ছিল, সেই ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলার অপেক্ষা অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে। তবে কদিন আগেই মুশফিকুর রহিম বলেছেন,এই সফরটা খুব একটা ঐতিহাসিক মনে করেন না। কিন্তু বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল মনে করিয়ে দিচ্ছেন, হায়দরাবাদে বলেই এই টেস্ট “স্পেশাল”।
এই হায়দরাবাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা সুখস্মৃতি হয়তো অনেকেরই মনে থাকার কথা। ১৯৯৭ সালে এখানে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামেই কেনিয়ার সঙ্গে ওয়ানডেতে প্রথম জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ২০ রানে অপরাজিত থেকেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন আমিনুল। তবে হায়দরাবাদের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও আগে থেকেই।
সেই ১৯৩০ সাল থেকে হায়দরাবাদে প্রতি বছর মইন উদ দৌলা গোল্ড কাপ টুর্নামেন্ট হয়ে আসছে। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুমের শুরুটাও এই টুর্নামেন্ট দিয়ে হওয়াটাও পরে হয়ে গেছে অলিখিত রীতি। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের আবাহনী ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংকে প্রথমবারের মতো আমন্ত্রণ জানায় হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। পরের বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড একাদশ নামে জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা আবার খেলেন ওই টুর্নামেন্টে। আমিনুল ইসলাম, আতাহার আলী খান, আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন্ এনামুল হক মনিসহ জাতীয় দলের সাবেকরা প্রায় সবাই ছিলেন ওই দলে। এরপর আরও বেশ কয়েকবারই ওই টুর্নামেন্ট খেলার জন্য বাংলাদেশকে ডেকেছে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
এতোদিন পর সেই স্মৃতি আবার নাড়া দিয়ে যাচ্ছে আমিনুল ইসলামকে, “ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্ট বলে নয়, হায়দরাবাদে বলেই এই সফর ঐতিহাসিক। আমাদের প্রথম টেস্টটা ভারতের সঙ্গে, তাদের মাটিতে আমাদের প্রথম টেস্টের আলাদা একটা ঐতিহাসিক মূল্য তো আছে। তবে হায়দরাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অনেক আগে থেকেই আমাদের ওখানে খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমি নিজেও বেশ কয়েকবার মইন উদ দৌলা গোল্ড কাপে খেলেছি। ওই টুর্নামেন্টে ভারতের শীর্ষ সারির ক্রিকেটাররাই খেলত। শুধু তাদের অ্যাসোসিয়েশন শুধু বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েই ক্ষান্ত হতো না, নিজেদের খরচে পরে আমাদের আরও চার-পাঁচটি ম্যাচ খেলারও সুযোগ করে দিত। ওই সময় এটা ছিল আমাদের জন্য পরম একটা পাওয়া।”
শুধু হায়দরাবাদ আমন্ত্রণ জানাত তা নয়, আমিনুল মনে করিয়ে দিয়েছেন হায়দরাবাদের দল ডেক্কান ব্লুজও বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। ১৯৯০ সালে ওই সফরে ছিলেন সৈয়দ কিরমানি, প্রয়াত রমন লাম্বাদের মতো ক্রিকেটার। সেবার প্রথম দুইটি ম্যাচে বিসিসিবি একাদশই জিতেছিল, তাতে বড় অবদান রেখেছিলেন মিনহাজুল ও আমিনুল। সেই হায়দরাবাদে আবার ফিরছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, সফরটা তাই বিশেষ কিছু বলেই মনে করেন আমিনুল।