শেষ বিকেলে সৌম্য-হতাশা
স্কোর
দ্বিতীয় দিন শেষে
ভারত ১৬৬ ওভারে ৬৮৭/৬ ডিক্লে (কোহলি ২০৪, বিজয় ১০৮, ঋদ্ধিমান ১০৪*; তাইজুল ৩/১৫৬)
বাংলাদেশ ১৪ ওভারে ৪১/১ (তামিম ২৪*, সৌম্য ১৫, মুমিনুল ১; যাদব ১/২ )
চিত্রনাট্যটা অনুমিতই ছিল। টসে জিতলে ব্যাটিং নিয়ে রানের পাহাড়ে ভারত চাপা দেবে বাংলাদেশকে। এরপর স্পিন বিষে নীল করার চেষ্টা করবে বাংলাদেশকে। প্রথমটা একেবারেই মিলেছে, তবে দ্বিতীয়টার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে কাল পর্যন্ত। বাংলাদেশের সামনে এখনো ৬৪৬ রানের পাহাড়, তবে শেষ বিকেলে সৌম্য সরকারকে না হারালে সেটি আরেকটু ছোট মনে হতেই পারত।
সেই আউট নিয়েও সৌম্য নিজেকে দুর্ভাগা মনে করতেই পারেন। উমেশ যাদবের বলটা যে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গেছে, সেটা নিয়ে বোলার বা কিপার কেউই খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। মিড অন থেকে পূজারা ব্যাটে লাগার আওয়াজ শুনতে পেলেন, কোহলিরও মনে হলো সেরকম। দোনোমোনো করেই রিভিউ নিলেন ভারত অধিনায়ক। রিপ্লেতে দেখা গেল, বল ব্যাটে চুমু খেয়ে গেছে। অবিশ্বাসে মাথা নাড়তে নাড়তে ক্রিজে ফিরে গেলেন সৌম্য।
তার আগে দুই ব্যাটসম্যানকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিল। তামিমের শুরুটা ছিল একটু নড়বড়ে, প্রথম বাউন্ডারিটাই তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ হতে পারত। কিন্তু এরপর দুই ব্যাটসম্যানই বেশ স্বছন্দেই খেলছিলেন। শেষ পর্যন্ত উমেশ যাদবের বলটাই বিষাদে ঢেকে দিল বাংলাদেশের বিকেল। তামিম ও মুমিনুল এখনো আছেন ক্রিজে, দুজনেই কাল ইনিংসটা যদ্দুর সম্ভব বড় করতেই চাইবেন।
তবে তার আগে ভারত গড়ে ফেলেছে অনেকগুলো রেকর্ডই। প্রথম দিন মুরালি বিজয় ও বিরাট কোহলি পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি, আজ কোহলি করে ফেলেছেন নিজের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিও। দুপুরের পর সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন ঋদ্ধিমান সাহাও, শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজাও করে ফেলেছেন ফিফটি। অথচ মুশফিক অবিশ্বাস্য ওই স্টাম্পিংয়ের সুযোগটা হাতছাড়া না করলে ঋদ্ধিমান আউট হয়ে যেতে পারতেন চার রানেই। সেখান থেকে সুযোগ পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন ১০৬ রানে, টেস্ট ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে ভারত পর পর তিন ইনিংসে পেরিয়ে গেছে ৬০০ রানের মাইলফলক।