• ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    মুশফিক-মিরাজে বাংলাদেশের স্বর্ণালী সন্ধ্যা

    মুশফিক-মিরাজে বাংলাদেশের স্বর্ণালী সন্ধ্যা    

    স্কোর

    ভারত ৬৮৭/৬

    বাংলাদেশ ১০৪ ওভারে ৩২২/৬ (সাকিব ৮২, মুশফিক ৮১*, মিরাজ ৫১*; যাদব ২/৭২ )


    দ্বিতীয় সেশনটা হতে পারত পুরোপুরি বাংলাদেশের। সাকিব ও সাব্বির আউট হয়ে যাওয়ায় সেটা আর হয়নি। তবে মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ তৃতীয় সেশন পুরোপুরিই বাংলাদেশের করে নিলেন। হায়দরাবাদ টেস্টে দুজনের এখনো অনেক কাজ বাকি, ভারত এখনো এগিয়ে আছে ৩৬৫ রানে। চতুর্থ দিনে দুজনের ৮৭ রানের জুটিটা কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে, বাংলাদেশের এই ম্যাচের ভাগ্য নির্ভর করছে হয়তো সেটার ওপরেই।

    সেই কৃতিত্ব যতটা মুশফিকের, মিরাজের বোধ হয় তার চেয়েও কিছুটা বেশি। নিজেকে একটা সময় ব্যাটিং অলরাউন্ডারই ভাবতেন, অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপেও গত বছর খেলেছিলেন দারুণ কিছু ইনিংস। কিন্তু দলে অফ স্পিনার হিসেবে সুযোগ পাওয়ার পর হঠাৎ করে যেন ব্যাটিং ভুলে গেলেন। প্রথম ৪ টেস্টে সব মিলে করতে পেরেছিলেন ২০ রান,গড় মাত্র ২.৫। অবশেষে নিজের ব্যাটসম্যান পরিচয়টা চেনালেন মোক্ষম সময়ে এসে। ২৩৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ফলো অনের শঙ্কায়, তখনই মুশফিকের সঙ্গে গড়ে তুললেন দারুণ গুরুত্বপূর্ণ জুটি।

    সেই জুটিতে মিরাজ খেলেছেন চোখের জণ্য দারুণ সুখকর কিছু শট। বিশেষ করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ডাউন দ্য উইকেটে কভার ড্রাইভ বা ক্যারম বলকে যেভাবে চার মেরেছেন, অনেকদিনই চোখে লেগে থাকার মতো। তৃতীয় দিনেই পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। মুশফিকও এক প্রান্ত আগলে কোনো ঝুঁকি নেননি, প্রয়োজনের সময় অবশ্য ঠিকই রান তুলেছেন। পঞ্চম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৯ রান দূরে শেষ করেছেন দিন। হাবিবুল বাশার, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর চতুর্থ বাংলাদেশী হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে তিন হাজার রানের মাইলফলকও হয়ে গেছে। তবে কাল  সেই রান যত বেশি সম্ভব বাড়িয়ে নিতে চাইবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।