অবশেষে জয়ের "মানে" খুঁজে পেল লিভারপুল
বিপক্ষে ছিল ফর্ম, এই বছর প্রিমিয়ার লিগে এই ম্যাচের আগে কোনো জয় ছিল না। শুধু পক্ষে ছিল ইতিহাস, নিজেদের মাঠে টটেনহামের সঙ্গে সর্বশেষ ২২ ম্যাচের মাত্র একটিই হেরেছে। অ্যানফিল্ডে লিভারপুল কতটা ভয়ংকর, সেটাই আরেক বার জানল টটেনহাম। ২-০ গোলে স্পারসরা হেরে গেছে অল রেডদের কাছে। তবে এই জয়ে লিভারপুলের যতটা লাভ হয়েছে, চেলসির তার চেয়ে খুব কম নয়। দুইয়ে থাকা টটেনহাম হেরে গিয়ে তাদের শিরোপা যে আরও একটু বেশি নিশ্চিত করে দিল!
নিজেদের মাঠে বেশ কিছুদিন ধরেই বিবর্ণ লিভারপুল। কদিন আগে অ্যানফিল্ডে সোয়ানসির সিটির কাছেও হেরে যেতে হয়েছে। তবে আজ শুরু থেকেই লিভারপুল ছিল দুর্দান্ত, বলতে গেলে খেলা শেষ করে দিয়েছে প্রথম ২০ মিনিটেই। সেটিও প্রায় একাই করেছেন সাদিও মানে। দেশের হয়ে আফ্রিকান নেশনস কাপের জন্য বেশ কদিন প্রথম একাদশে ছিলেন আন সেনেগালিজ উইঙ্গার। আজ শুরু থেকেই গতি দিয়ে টটেনহামের রক্ষণ এলোমেলো করে দিয়েছেন। ১৬ মিনিটে ডান পায়ের দারুণ এক ফিনিশিংয়ে পেয়েছেন প্রথম গোল। সেই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই দুই মিনিট পর আবার গোল। এবার সেটি অ্যাডাম লালানা ও রবার্তো ফিরমিনর যে কারও হতে পারত। কিন্তু দুজনের শট টটেনহামের গোলরক্ষক-ডিফেন্ডার ফিরিয়ে দেওয়ার পর মানের কাছে চলে আসে বল। একদম কাছ থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করতে ভুল করেননি।
মানে অবশ্য প্রথম ২০ মিনিটেই আরও গোটাদুয়েক গোল পেয়ে যেতে পারতেন। হয়নি হুগো লরিসের জন্য। দুর্দান্ত দুই সেভে দলকে আরও বড় লজ্জা পেতে দেননি, এমনকি নিজেকে হারিয়ে খোঁজা সিমোন মিনিয়োলেত দারুন সেভ না করলে প্রথম ৩০ মিনিটেই ব্যবধান কমিয়ে ফেলতে পারত টটেনহাম। শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে বলতে গেলে টটেনহাম সেভাবে সুযোগই পায়নি। হ্যারি কেন যে একবার বল বল পোস্টে লাগিয়েছিলেন, সেটিও ছিল অফসাইড। বরং এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুলই। সেটা না হলেও জয়টা ঠিকই এসেছে। বড় দল পেলে জ্বলে ওঠার অভ্যাসটাও আগে একবার করে দেখিয়েছে লিভারপুল। এবার যে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের পচা শামুকেই পা কেটেছে বেশি! এই জয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এসেছে লিভারপুল। ওয়াটফোর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েও ছয়েই আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, হালকে ২-০ গোলে হারিয়ে আর্সেনাল আছে তিনেই।