ইতিহাস গড়তে পারবে বাংলাদেশ?
স্কোর
ভারত ৬৮৭/৬ ও ২৯ ওভারে ১৫৯/৪ (পূজারা ৫৪*, কোহলি ৩৮; তাসকিন ২/৪৩, সাকিব ২/৫০)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ৩৮৮ (মুশফিক ১২৭, সাকিব ৮২)
চিত্রনাট্যটা একেবারেই অনুমিত ছিল। বাংলাদেশকে রানের পাহাড়ে চাপা দেবে ভারত। ফলো অন না করালে নিজেরা যত দ্রুত সম্ভব রান তুলে বড় একটা লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দেবে। সেটাই হয়েছে, দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ওয়ানডের ধরনে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ৪৫৯ রানের লক্ষ্য। ভারতের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে কখনো ৪০০র বেশি রান হয়নি, এশিয়াতে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের কীর্তিটা বাংলাদেশেরই। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২০০৮ সালে ৪১৩ রানের দুর্দান্ত ওই কীর্তি গড়েও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি। এবারের চ্যালেঞ্জটা বোধ হয় তার চেয়েও কঠিন।
তবে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ছোট্ট একটা প্রাপ্তি হয়তো আছে। ভারত ২৯ ওভারে ১৫৯ রান করেছে, সেটাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। তবে ৪ উইকেট নিয়ে ছোবল দিয়েছে বাংলাদেশও। মিরাজ সাকিবের বলে জাদেজার সহজ ক্যাচ হাত থেকে ফেলে না দিলে ৫ উইকেটও হতে পারত।
প্রথম আঘাতটা ছিল তাসকিনের। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে চতুর্থ ওভারেই ক্যাচ তুলে দিয়েছেন মুরালি বিজয়। তাসকিনের পরের ওভারে প্রায় একইভাবে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট লোকেশ রাহুলও। এরপর কোহলি-পূজারা দ্রুত কিছু রান করে বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছেন ব্যাকফুটে। সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কোহলি ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট মিড উইকেটে, পরে সাকিবের বলই উইকেট ছেড়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন রাহানে। শেষ দিকে জাদেজার ছোট্ট ঝড়ে ভারত পেরিয়ে গেছে ১৫০ রানের ইনিংস।