• ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    "এ কী করলেন মুশফিক"!

    "এ কী করলেন মুশফিক"!    

    স্কোর (পঞ্চম দিন, লাঞ্চ)

    ভারত ৬৮৭ ও ১৫৯/৪

    বাংলাদেশ ৩৮৮ ও ৬৭ ওভারে ২০২/৫ (মাহমুদুল্লাহ ৫৮*, সৌম্য ৪২, মুমিনুল ২৭, মুশফিক ২৩, সাকিব ২২, সাব্বির ১৮*; অশ্বিন ৩/৬৩ )


    লেখাটার শিরোনাম দেখে একটু বিভ্রান্ত হতে পারেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক যা করলেন, সেটার জন্য ২৪ ডটকমের এমন রগরগে স্লোগানও খুব বেশি বাহুল্য বোধ হয় হবে না। যে মুশফিককে দলের সবচেয়ে স্থিতধী ব্যাটসম্যান হিসেবে সবাই জানেন, পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী যাঁর ব্যাটই হয়ে ওঠে নির্ভরতার সবচেয়ে বড় ঢাল, তিনিই এমন চোখ বুজে আত্মহত্যা করে এলেন! অথচ এমনভাবে উইকেট দিয়ে আসার কথা যাঁর, সেই সাকিব আল হাসানকে আজ অন্তত কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাচ্ছে না। এই ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয় যে এখন সময়ের ব্যাপার, তাতে তো দায়টা আসলে মুশফিকেরই।

    সকালের শুরুটাই হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের উইকেট প্রথম চার দিন খুব বেশি ভাঙেনি। তবে ভারতের উইকেটের চরিত্র মেনে শেষ দিনে কিছু ফাটল তো থাকবেই। সেরকম একটি ফাটলেই পড়ে জাদেজার বলটা হঠাৎ করে বড় টার্ন করল। হুট করে লাফিয়ে পড়া বলে আসলে সাকিবের কিছু করারও ছিল না। তখন মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশের সামনে আরও কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।

    সেই পরীক্ষায় পাশ করার সবচেয়ে মনযোগী ছাত্র যিনি হতে পারতেন, শুরুটা তাঁর ভালোই হয়েছিল। মনে হচ্ছিল, আগের ইনিংসটা যেখান থেকে শেষ করেছেন, আজ বোধ হয় সেখান থেকেই শুরু করেছেন। দেখেশুনেই খেলছিলেন বল, এর মধ্যে পুল-কাটে রানও আসছিল। ইশান্ত শর্মাকে যেমন পুল করে মারলেন দারুণ একটা ছয়।

    কিন্তু অশ্বিন আসার পরেই হঠাৎ যেন মাথায় ভূত চেপে বসল। মুখোমুখি দ্বিতীয় বলটা ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেললেন, চার! কিন্তু চতুর্থ বলে আবারও কেন যেন উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গেলেন। অশ্বিনও বুঝতে পেরে লেংথটা খাটো করে দিয়েছিলেন, টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে ক্যাচ উঠে গেল। ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীও সবিস্ময়ে বলে উঠলেন, “আতহার, এসব কী হচ্ছে?” হতাশায় অধোবদন হয়ে মুশফিক তখন ফিরে যাচ্ছেন প্যাভিলিয়নে। বাংলাদেশের পরাজয়ের শবদেহটাও বোধ হয় ফিরে গেল তাঁর সঙ্গেই।

    এরপর অবশ্য মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির মিলে আর কোনো বিপদ হতে দেননি। নড়বড়ে হতে হতেই ১০ ইনিংস পর টেস্টে ফিফটি পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, সাব্বিরও কাটিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছুটা সময়। কিন্তু দুজনের বাকি দুই সেশন পার করা কেওক্রাডংয়ে উঠে এভারেস্টের স্বপ্ন দেখার মতোই কঠিন।