ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল শ্রীলঙ্কা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড- ৩০৯/৬, ৫০ ওভার(জো রুট ১২১, ইয়ান বেল ৪৯, দিলশান ১/৩৫, হেরাথ ১/৩৫)।
শ্রীলংকা- ৩১২/১( থিরামানে ১৩৯(অপরাজিত), সাঙ্গারকারা ১১৭(অপরাজিত), মইন আলী ৫০/১)।
ফলাফল- শ্রীলংকা ৯ উইকেটে জয়ী।
না ওয়েলিংটন ভূত যেন নামলোনা ইংল্যান্ডের ঘাড় থেকে। আবারও হেরে বসলো। এবার বড় স্কোর করেও পার পেলোনা মরগ্যান বাহিনী। শ্রীলংকার কাছে ম্যাচটি হেরেছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত ইংরেজ অধিনায়কের। কাপ্তানের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণিত করতে সক্ষম হল ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। বেলের ৪৯ এবং জো রুটের অনবদ্য ১২১ রান, ইংলিশদের এনে দেয় লড়াই করার মত পুজি ৩০৯ রান। উইকেট অপচয় করেছে মাত্র ৬ টি।লঙ্কান বোলারদের মধ্যে লাকমাল একটু বেশীই রান দিয়েছেন, যদিও একটি উইকেট নিজের ঝুলিতে ভরতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া মালিঙ্গা ম্যাথিউস, দিলশান, হেরাথ সহ প্রত্যেক বোলার একটি করে উইকেট লাভ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিলশান- থিরিমান্নের ১০০ রানের পার্টনারশিপ শ্রীলংকাকে এনে দেয় একটি শক্ত ভিত। ব্যক্তিগত ৪৪ দলীয় ১০০ রানের মাথায় দিলশান ফিরে যাওয়ার পর পরই শুরু হয় সাঙ্গাকারা কাহিনী। সেই গল্পের পুরোটা জুড়েই এই অভিজ্ঞ লঙ্কান ব্যাটসম্যান। খেলা দেখে কখনও মনে হয় চাপে আছে শ্রীলংকার এই দুই ব্যাটসম্যান। বড় স্কোর মোকাবেলা করতে গিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় রানের চাকা সচল রাখলো দুই লঙ্কান। যাকে বলে একদম “ক্লাসিক্যাল” ক্রিকেট। সাঙ্গারকারা করে ফেলেন নিজের ২৩ তম সেঞ্চুরি। এছাড়া থিরিমান্নেও নিজ ক্যারিয়ারের ৪র্থ শত রানের মালিক হন। দুই ব্যাটসম্যানের হার না মানা ২১২ রানের পার্টনারশিপের উপর ভর দিয়েই মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৭ বল বাকি থাকাতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে শ্রীলংকা। সাথে সাথে কোয়ার্টার ফাইনালের দিকেও এক ধাপ এগিয়ে থাকলো।
ব্যাটিং ভালো হলেও বাজে বোলিং, ফিল্ডিং এবং ক্যাচ মিসের মহড়ার কারণে ৩০০’র বেশী করেও হারতে হল ইংল্যান্ডকে। শুরুতে যদি থিরিমান্নের ক্যাচটি রুট তালু বন্দি করতে সক্ষম হত, হতেও পারতো অন্য ভাবে ম্যাচের ফলাফল লেখা হচ্ছে। গ্রুপে তিনটি ম্যাচ হেরে একেবারে খাদের কিনারায় এখন মরগ্যান বাহিনী। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে আগামী দুই ম্যাচে আর কোন ভুল করা যাবেনা, সমীকরণটি নিশ্চয় মাথায় থাকবে ইংরেজদের।