"অনৈতিক" চুলের ছাট বদলে ফেলার নির্দেশ জিয়ানদের
ফুটবলারদের কত অদ্ভুত কারণেই তো নিষেধাজ্ঞা পেতে হয়, ক্লাব থেকে সতর্কবার্তাও শুনতে হয়। তবে আসামোয়াহ জিয়ানকে যে কারণে সতর্কবার্তা পেতে হলো, সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হতে পারে। “অনৈতিক” ঢংয়ে চুল কাটার কারণে জিয়ানসহ আরও ৪০ জন ফুটবলারকে আরব আমিরাতের ফুটবল লিগে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
চীনের ক্লাব সাংহাই এসআইপিজিতে খেলার পর ধারে দুবাইয়ের আল আহলিতে এসেছিলেন জিয়ান। কিন্তু নতুন ক্লাবে চুলের ধরনের কারণে এখন বিপাকে পড়তে হয়েছে। লিগ কর্তৃপক্ষের দাবি, ফুটবলারদের দেখে শিশু কিশোররা ওই ছাটে চুল কাটতে পারে। সেটা তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না।
আরব বিশ্বে অবশ্য ফুটবলারদের চুলের ছাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১২ সালে সৌদি আরবের গোলরক্ষক ওয়ালিদ আবদুল্লাহকে চুলের ছাট বদলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল তাঁর ক্লাব আল শাবাব। না ছাটলে জরিমানা এমনকি নিষেধাজ্ঞারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আবদুল্লাহকে ওই কাজটাই করতে হয়েছে। তার চেয়েও মজার ব্যাপার, আল ওয়াহদার সুহাইল আল মানসুরিকে চুলের ছাট বদলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল তাঁর ক্লাব আল ওয়াহদা। অথচ একই ছাটের জন্য পার পেয়ে গেছেন ২০১৬ সালের এশিয়ান বর্ষসেরা ফুটবলার উমর আবদুল রেহমান।