• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    আধিপত্যের চরম রূপ

    আধিপত্যের চরম রূপ    

    আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের ৩০ ওভার শেষ, ৩১তম ওভারে বোলিংয়ে এলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। খেলাটা না দেখে থাকলে হয়তো একটু চমকে গেছেন। ঠিকই পড়েছেন, ডি ভিলিয়ার্সই করেছিলেন ৩১তম ওভারটা, আর দ্বিতীয় বলে উইকেটও ফেলে দিলেন একটা। কি ভাবছেন? ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে না পেরে বোলিং দিয়ে পুষিয়ে দিতে এসেছিলেন প্রোটিয়া কাপ্তান? ব্যাপারটা তা নয়, ম্যাচ পুরোপুরি নিশ্চিত করার পর ঐ সময়টায় বোলিং নিয়ে ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করছিলেন তিনি, বোলিং করিয়েছেন ডু প্লেসি, রুসোদের দিয়েও।

     

     

    আইরিশদের জন্যে গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এ ম্যাচটাই। তবে প্রথমে ব্যাট করে প্রোটিয়ারা অ্যাকাউন্টে ৪১১ রান জমা করে ফেলার পর তাদের ভেতর চ্যালেঞ্জ নেবার বা দেবার অবশিষ্ট কিছু ছিল কিনা, তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ আছে। যদি বা কিছু থেকেও থাকে, শেষ করে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উদ্বোধনী বোলার ডেল স্টেইন ও কাইল অ্যাবট। ৪৮ রানের মধ্যে এ দু’জন মিলে আইরিশদের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেয়ার পর আইরিশরা কেবল খেলার জন্যেই খেলে গেছে, ম্যাচ জেতার কোন প্রয়াস তাদের মধ্যে দেখা যায়নি।

     

     

    ৪১১ রানের পাহাড়টা গড়তে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল ধীরে ধীরে ব্যাটিং আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে উঠতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার হাশিম আমলার। তাঁর ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল দেখে কখনোই মনে হয় না শট খেলতে কোন শক্তি প্রয়োগ করেন, অসামান্য নির্লিপ্ততার সাথে ওদিকে রানের বন্যা কিন্তু ঠিকই বইয়ে চলেছেন। ১২৮ বলে ১৫৯ রানের আজকের ইনিংসটাও ছিল চোখের জন্যে প্রশান্তিদায়ক। তিন নম্বরে নেমে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ছিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসি(১০৯ বলে ১০৯)। পাহাড় তৈরির শেষদিকের কাজটা প্রচণ্ড দ্রুততার সঙ্গে করেছেন দুই তরুণ ডেভিড মিলার(২৩ বলে ৪৬) ও রিলি রুসো(৩০ বলে ৬১)।

     

    পরপর দু’ম্যাচে চারশোর উপরে সংগ্রহ পেলো দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়ানডে ইতিহাসেই যেটা প্রথমবার ঘটা ঘটনা। আধিপত্যের স্বরূপটা কি এরচেয়েও প্রবল হওয়া সম্ভব? ছবি-সৌজন্যঃএএফপি