• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    ২৫ দলের বিশ্বকাপ চান শচীন

    ২৫ দলের বিশ্বকাপ চান শচীন    

    ২০১৯ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ১৪ থেকে ১০-এ নেমে আসবে এরকম একটা ধারণা অনেকদিন থেকেই হাওয়ায় ভাসছে। আইসিসির সভায় এর মধ্যেই প্রস্তাবটা উত্থাপন করা হয়েছে। তবে শচীন টেন্ডুলকার দলসংখ্যা কমানো দূরে থাক, বরং উল্টোটা চাইছেন। শচীনের চাওয়া, সামনের বিশ্বকাপে ২৫টি দল খেলুক!

     

    দশ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসির সমালোচনা হচ্ছে বিস্তর। আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও স্কটল্যান্ড অধিনায়ক প্রেস্টন মমসেন তো খোলাখুলি বলে দিয়েছেন, এই উদ্যোগ ওই দেশ দুইটিতে ক্রিকেট-প্রসার ব্যাহত করবে। বিশ্বায়নের এই যুগে সবাই যখন খেলাটাকে ছড়িয়ে দিতে চাইছে তখন আইসিসির এই উলটো দিকে যাত্রা কেন ? শচীন ঠিক প্রশ্নটাই তুলেছেন, “শুনছি বিশ্বকাপ নাকি দশ দলের হবে। এরকম হলে আমি হতাশ হব, ক্রিকেটকে যখন ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এই চেষ্টাটা সেখান থেকে পিছু হটা। ছোট দলগুলোকে উৎসাহ না দিলে ওরা এগুবে কীভাবে? ”

     

     

    আইসিসির দশ দলের ধারণাকে অবশ্য এই বিশ্বকাপে সহযোগী দেশগুলো ঠেলে দিচ্ছে প্রশ্নের মুখে। আয়ারল্যান্ড এর মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছে। আফগানিস্তান-স্কটল্যান্ডের ম্যাচটা তো এই বিশ্বকাপেরই অন্যতম সেরা। বড়দলগুলোর ম্যাচ যেখানে একপেশে হয়ে যাচ্ছে, সেখানে তথাকথিত ছোট দলের ম্যাচই মাঠে বেশি রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে।

     

     

    শচীন সেজন্যই বললেন, “প্রতি বিশ্বকাপেই সহযোগী দেশগুলো চমক দৃষ্টি করেই। আর ওদেরকে যত বেশি খেলার সুযোগ দেবেন, এটা আরও নিয়মিত করতে পারবে। এই মুহূর্তে চার বছর পর পর বিশ্বকাপে এসে ওদের অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার মতো বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলতে হয়। এটা খুবই অবিচার। ”  পরামর্শও দিয়েছেন, “অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রলঙ্কা বা অন্য দেশগুলোর এ দল তো বিভিন্ন দেশে খেলতে যেতেই পারে। ১৪ দল কেন, আমরা কি ২৫ দলের বিশ্বকাপ দেখতে পারি না ? ক্রিকেট খেলা তো ছয়-সাতটা দেশের নয়। উন্মাদনাটা ছড়িয়ে দিতে চাইলে আরও অনেক দেশকে এখানে যোগ করতে হবে। আশা করব আইসিসি এই ব্যাপারটা দেখবে।”

     

     

    ওয়ানডে ফরম্যাটের সংস্কারের কথা বলে আসছিলেন অনেকদিন থেকেই। শচীনের প্রস্তাব, একসঙ্গে ৫০ ওভার ব্যাটিং না করে ২৫ ওভার করে দুই ইনিংস খেলা হোক। যেসব মাঠে শিশিরের জন্য পরে বল করাটা একরকম ম্যাচ হেরে যাওয়ার মতো, সেই সমস্যার জন্যই এই প্রস্তাব দিয়েছেন শচীন। তবে জানিয়েছেন, আইসিসি এখনও এই প্রস্তাবে সায় দেয়নি।