• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    আত্মবিশ্বাস সঞ্চয়ের ম্যাচ

    আত্মবিশ্বাস সঞ্চয়ের ম্যাচ    

    তথ্যটা হয়তো একটু চমকেই দেবে আপনাকে, স্কটল্যান্ডের সাথে শেষ খেলা আন্তর্জাতিক ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অবশ্য সেটা ছিল একটা টি-টুয়েন্টি ম্যাচ, ২০১২-র জুলাইতে নেদারল্যান্ডের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটায় সেঞ্চুরিয়ান রিচি বেরিংটন একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন সাকিব,মুশফিকদের। কালকের ম্যাচটাতেও খেলছেন বেরিংটন। নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় স্কটিশদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

     

     

    প্রথম ম্যাচে জেতার পর অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা থেকে এক পয়েন্ট পেয়ে প্রত্যাশার পারদটা আকাশে উঠিয়ে দিয়েছিলেন যারা, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশাল পরাজয় বাস্তবতার মাটিতে নামিয়ে এনেছে তাদের। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সমীকরণটা যদিও এখনও বাংলাদেশের পক্ষেই আছে, বাস্তবতা বলছে অসম্ভব গুরুত্ব বহন করছে স্কটল্যান্ড ম্যাচটা। পরাজয়ের পর কালকের ম্যাচটাই হতে পারে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার মাধ্যম। এ কথা ঠিক, গাণিতিক হিসাব নিকাশে কাল হেরে গেলেই গ্রুপ পর্ব পেরুনোর সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে না। তবে কমতির দিকে থাকা আত্মবিশ্বাস নেমে যাবে একেবারে তলানিতে। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানো হয়তো একপ্রকার অসম্ভবই হয়ে পড়বে।

     

    শুধুমাত্র এই ম্যাচটার কথা ভেবেই দিন কয়েক আগে খণ্ডকালীন পরামর্শক হিসেবে কোচিং প্যানেলে শেন জার্গেনসেনকে যুক্ত করেছে স্কটিশ টিম ম্যানেজমেন্ট, যিনি কিনা মাস দশেক আগেই প্রধান কোচ ছিলেন বাংলাদেশ দলের। বোঝাই যাচ্ছে ম্যাচটায় জিততে কতটা মরিয়া স্কটল্যান্ড। আফগানিস্তানের সঙ্গে  ম্যাচটায় তীরে এসেও তরী ডুবেছিল, কালকের ম্যাচটার পর সামনে দুই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। সঙ্গত কারণেই বিশ্বকাপ ইতিহাসে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিতে এ ম্যাচটাকেই পাখির চোখ করেছে তারা। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক প্রেসটন মমসেসেনের কথা শুনেও বোঝা গেল জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না স্কটিশরা। গত ম্যাচের একাদশে একটা পরিবর্তন আনার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে, পেসার সাফায়ান শরিফ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বোলিং আক্রমণে।

     

    টাইগারদের জন্য অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হতে পারে স্যাক্সটন ওভাল। সচরাচর ভরা স্টেডিয়ামে অকুণ্ঠ সমর্থন সাথে নিয়েই আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো খেলেন ক্রিকেটাররা। ক্যানবেরায় প্রথম ম্যাচটায়ও অনুরূপ পরিবেশ পাওয়া গিয়েছিল। মেলবোর্নে বিশাল স্টেডিয়াম পূর্ণ না হলেও যথেষ্ট উপস্থিতি ছিল বাংলাদেশী সমর্থকদের। তবে কাল মাঠে হয়তো অল্প কিছু মানুষের সমর্থন সাথে পাবে মাশরাফি বাহিনী। ব্যাপারটা একদিক দিয়ে বিপরীতে হিতও হতে পারে। গ্যালারিভর্তি দর্শকের প্রত্যাশার চাপটা তো চেপে বসছে না। মাশরাফি অবশ্য বেশি দর্শকের প্রত্যাশার চাপকে নেতিবাচক ভাবতে নারাজ। বরং ব্যাপারটা তিনি উপভোগই করেন বলে জানালেন। ছবি-সৌজন্যঃবিসিবি