স্বস্তির জয়ে শেষ আটের পথে আরেক ধাপ
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ স্কটল্যান্ড ৩১৮/৮, ৫০ ওভার (কাইল কোয়েটজার ১৫৬, প্রেস্টন মোমসেন ৩৯; তাসকিন ৩/৪৬); বাংলাদেশ ৩২২/৪, ৪৮.১ ওভার (তামিম ৯৫, মাহমুদুল্লাহ ৬২, মুশফিক ৬০, সাকিব ৫২*, সাব্বির ৪২*; ডেভি ২/৬৮)
ফলঃ বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচঃ কাইল কোয়েটজার (স্কটল্যান্ড)
বিশ্বকাপের মাঠে স্কটল্যান্ডের দলগত সর্বোচ্চ, বিশ্বকাপে কোন সহযোগী দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে কাইল কোয়েটজারের প্রথমবারের মতো দেড়শ রানের মাইলফলক...স্কটিশদের ছুঁড়ে দেয়া ৩১৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জিততে বাংলাদেশেরো প্রয়োজন ছিল কিছু রেকর্ড গড়ার। বিশ্বকাপ তো বটেই, বাংলাদেশের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেও সবচেয়ে বেশী রান তাড়া করে জয়টা এলো...৬ উইকেটের সে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন আরও খানিকটা উজ্জ্বল করলো টাইগাররা।
ফিল্ডিংয়ের সময় কাঁধে আঘাত পাওয়া আনামুল ব্যাট হাতে মাঠে নামতে পারেন নি। সে বিবেচনায় বাংলাদেশকে খেলতে হয় মূলত একটি উইকেট কম হাতে নিয়েই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সৌম্য সরকারের কট বিহাইন্ড ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল না মোটেই। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম-মাহমুদুল্লাহর সময়োপযোগী সাবলীল ব্যাটিং সে শঙ্কা কাটিয়ে দেয় অনেকটাই। ৬২ বল থেকে ব্যক্তিগত ৬২ রান করে মাহমদুল্লাহ বোল্ড হলে তামিমের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ৪ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে তামিম ফিরে যান ব্যক্তিগত ৯৫ রানে। বিশ্বকাপের মাঠে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ব্যক্তিগত শতকের স্বপ্নটা অধরাই থেকে যায়।
৪২ বল মোকাবেলায় ক্যারিয়ারের কুড়িতম ওডিআই অর্ধশতকের পথে ৬টি চার, ২টি ছয়ের মার উপহার দেন মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ৬০ রানের মাথায় সীমানার দড়ির উপর ক্যাচ তুলে যখন তিনি প্যাভিলিয়নের পথে বাংলাদেশ তখনও জয় থেকে ৭২ রান দূরে, হাতে ৭২টি বল। এরপর সাকিব-সাব্বিরের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় জয় খুঁজে পায় বাংলাদেশ। সাকিব ৫২ ও সাব্বির ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দশ ওভারের মধ্যে স্কটল্যান্ডের দু’জন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরলেও ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে শুরু করেন ওপেনার কাইল কোয়েটজার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতরানের ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত টেনে নেন ১৫৬ রান পর্যন্ত, স্কটল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে তখন ৪৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২৬৯ রান। স্লগ ওভারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেটা শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৩১৮ রানের বেশী ওঠে নি।
১৩৪ বল থেকে ১৭ চার, ৪ ছয়ে কোয়েটজারের ১৫৬ রান জিতে নেয় ম্যাচসেরার পুরস্কার। দিনশেষে পরাজয়ের গ্লানিতে ম্লান হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপের মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটিতে স্কটিশদের সান্ত্বনা ওটুকুই।