• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    সহজ লক্ষ্যকে কঠিন করে জিতল ভারত

    সহজ লক্ষ্যকে কঠিন করে জিতল ভারত    

    যতটা একপেশে হবে বলে মনে হচ্ছিল, ততটা অবশ্য হয়নি। তবে পার্থে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ লড়াইয়ে আজ শেষমেশ জয়ী দলের নাম ভারতই। আর এ জয়ের মধ্য দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ায় নিজেদের শেষ ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের চার উইকেটে হারিয়েছে তারা।

     

     

    ১৮৩ রানের জয়ের লক্ষ্যটা প্রথমদিকে অনায়াসসাধ্য বলেই প্রতীয়মান হচ্ছিল, ২০ রানে ২ উইকেট পড়ে গেলেও জয় নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়নি ভারত শিবিরে। তবে ১০৭ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে রায়না সাজঘরে ফিরে গেলে বেশ খানিকটা অনিশ্চয়তা জেঁকে বসে সেখানে। এর কিছুক্ষণ পর দলীয় ১৩৪ রানে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা। ঐ পর্যন্তই, অধিনায়ক ধোনি অনিশ্চয়তাটাকে আর ডালপালা মেলতে দেননি। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে বাকি পথটা সাবধানেই পাড়ি দেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি, এছাড়া বিরাট কোহলি করেন ৩৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন জেরোম টেলর ও আন্দ্রে রাসেল।

     

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসটার সারকথায় অবধারিতভাবে আসবে ক্রিস গেইলের নাম, শুধু স্কোরবোর্ড দেখে যদিও অর্থহীন মনে হবে কথাটা। ম্যাচটা দেখে থাকলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন, গেইলের ভূমিকাটা কি ছিল। ফিটনেসে কমতির কথা স্বীকার করেছিলেন নিজের মুখেই, ক্যারিবিয়ানদের জন্যে কাল হয়ে দাঁড়ালো আজ সেটাই। শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল অস্বস্তিতে আছেন গেইল, নিচ্ছিলেন না নিশ্চিত সিঙ্গেলগুলোও। স্বাভাবিকভাবেই অপরপ্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যানের জন্য চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ব্যাপারটা। পঞ্চম ওভারে এ চাপের মুখেই শট খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন ডোয়াইন স্মিথ। আর অষ্টম ওভারে স্যামুয়েলসের রান আউটে তো প্রত্যক্ষভাবেই দায়ী গেইল। অপরপ্রান্ত থেকে দৌড়ে এপ্রান্তে এসে আবার বিপরীত দিকে অর্ধেক দূরত্ব পেরুতে যতক্ষণ লাগলো স্যামুয়েলসের, ততক্ষণে গেইল অতিক্রম করলেন দেড় কদম দূরত্ব। এটা ছিল ১৫ রানের মাথায় দ্বিতীয় ব্যাটসম্যানের প্যাভিলিয়নে ফেরা।

     

     

    স্যামুয়েলসের রাগান্বিত হওয়াটা ছিল খুবই সঙ্গত, তবে বেশি ক্রোধোন্মত্ত মনে হল যেন গেইলকেই, রাগটা অবশ্য নিজের উপরেই। ঝালটা মেটাতে চাইলেন বলের উপর, মারতে চাইছিলেন প্রতিটা বলকেই। ফলশ্রুতিতে নবম ওভারের শেষ বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়লেন ডিপ স্কোয়ার লেগে। এসব ঘটনায় সেই যে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ল ইনিংসের উপর, তা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে স্কোর দাঁড়ালো ৭ উইকেটে ৮৫। শেষমেশ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের প্রতি-আক্রমণে ১৮২তে পৌঁছাতে সক্ষম হয় তারা, টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন হোল্ডার। অসাধারন বোলিং নৈপুণ্য প্রদর্শন করে ৩৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন এক ম্যাচ পর দলে ফেরা পেসার মোহাম্মদ শামি, পরবর্তীতে ম্যাচসেরাও নির্বাচিত হন তিনিই। ছবি-সৌজন্যঃএপি