• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    লওরিকে 'জয়' উপহার দিল ইংল্যান্ড

    লওরিকে 'জয়' উপহার দিল ইংল্যান্ড    

    দুই দলের ফুটবলাররা সারিবদ্ধভাবে মাঠে নামছেন। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো দর্শকের করতালিতে মুখরিত পুরো এলাকা। মনে হতে পারে করতালিটা হয়তো শুধু ফুটবলারদের জন্যই। তবে কালকের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের আগে দর্শকের এই সম্ভাষণের অন্য একটি কারণও ছিল। কাল যে ইংলিশদের ‘মাস্কট’ হয়ে মাঠে নেমেছিল সবার প্রিয় ব্র্যাডলি লওরি! লওরিকে হতাশ করেনি ইংল্যান্ড দল, ২-০ গোলে লিথুয়ানিয়াকে হারিয়ে তার মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

    মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছোট্ট লওরির জীবনে ফুটবল বয়ে আনে অনাবিল আনন্দ। সান্ডারল্যান্ড ক্লাবের দারুণ ভক্ত সে। মাঝে মধ্যেই উপস্থিত হতো দলকে সমর্থন জানাতে। গত বছর ডাক্তাররা জানিয়েছেন, খুব বেশিদিন আর বাঁচবে না লওরি। এরপর থেকে হাসপাতালেই দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাটাতে হয় তাকে। জীবনের শেষ দিনগুলো যেন আনন্দে কাটে সেই লক্ষ্যেই কাজ করছেন লওরির আপনজনরা। লওরির পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর প্রিয় ক্লাব সান্ডারল্যান্ডও। এই মৌসুমের শুরুর দিকে এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মাঠে নেমেছিল সে, গোলও করেছিল একটি!

     

     

    সেদিনের মতো কালকের ম্যাচেও প্রিয় ফুটবলার ডিফোর সাথেই মাঠে নেমেছে লওরি। দর্শকের করতালিতে হাত দিয়ে কানও ঢাকতে হয়েছিল তাকে! সবার সাথে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গেয়েছে, এরপর অন্য বাচ্চাদের সাথে দর্শক সারিতে বসে ম্যাচ উপভোগ করেছে লওরি। তাঁর আনন্দটা দ্বিগুণ করেছেন ডিফো, ২১ মিনিটে গোল করে ইংলিশদের এগিয়ে দেন তিনি। তখন লওরির উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো!

     

     

    লওরির মা জেমা জানিয়েছেন, ডিফোর সাথে মাঠে নামার কথা শুনে দারুণ খুশি হয়েছে সে, “যখনই তাকে ব্যাপারটা জানিয়েছিলাম, সে তো খুশিতে লাফাচ্ছিল! সবার ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ। আমি আমার ছোট্ট লওরিকে নিয়ে গর্বিত।” শুধু মা নন, লওরিকে নিয়ে গর্বিত খোদ ডিফোও, “গোল করা সবসময়ই আনন্দের। কিন্তু যখন এই গোলটা কারো মুখে হাসি ফোটায় সেটার মাহাত্ম্য অনেকগুণ বেড়ে যায়। লওরির সাথে মাঠে নামার সময় আমিও খানিকটা আবেগি হয়ে গিয়েছিলাম।”

    শেষ পর্যন্ত ডিফো ও জেমি ভার্ডির গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ইংল্যান্ড। লওরিও হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছে।