• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    বলিভিয়ায় বিধ্বস্ত আর্জেন্টিনা

    বলিভিয়ায় বিধ্বস্ত আর্জেন্টিনা    

    বলিভিয়ার কাছে হেরে ২০১৮ বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন বড় ধাক্কা খেল আর্জেন্টিনার। লা পাজে বলিভিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে অসহায় আত্মসমর্পণই করতে হয়েছে মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা দলকে। এই হারের পর লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকায় পাঁচে নেমে গিয়েছে লা আলবিসেলেস্তেরা। এই অঞ্চল থেকে শীর্ষ চার দল সরাসরি খেলবে রাশিয়া বিশ্বকাপে।

    লা পাজে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে তিন হাজার মিটার উপরে খেলার চ্যালেঞ্জ তো ছিলই, এর সাথে ম্যাচের মাত্র সাড়ে পাঁচ ঘন্টা আগে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসির চার ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার আদেশ মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েই আসে আর্জেন্টিনার জন্যে। মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা দল বলিভিয়া বাধা পার হতে পারবে কি না সেই সংশয় তাই ছিল ম্যাচের আগ থেকেই। শেষ পর্যন্ত তাই সত্যি হল দু'বারের বিশ্বকাপ জয়ীদের জন্য।

    নিষেধাজ্ঞা আদেশে মেসি তো  ছিলেনই না, সাথে মাসচেরানো, হিগুয়েন, অটামেন্ডি, বিলিয়ারাও ছিলেন না দলে। চিলিকে ১-০ গোলে হারানো দলের রোমেরো, রোহো ও ডি মারিয়া ছাড়া বলিভিয়ার বিপক্ষে বাকি সবাই ছিলেন নতুন। এমনকি আগুয়েরো, দিবালাকেও সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রেখে এক আনকোরা দল নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ বাউজা। আগুয়েরোকে পরে নামালেও, দিবালাকে পুরো ম্যাচ বসিয়ে রেখেও জন্ম দিয়েছেন বিতর্কের।

    আর্জেন্টিনার শত সমস্যা থাকলেও নিজেদের মাঠে বলিভিয়া যেন অন্য এক দল। পয়েন্ট তালিকায় শেষের ঠিক আগের জায়গায় অবস্থান হলেও বলিভিয়ার এই মাঠে কমবেশি দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সব বড় দলকেই। ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল তেমন ইঙ্গিত। বলিভিয়ার আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত আর্জেন্টিনার রক্ষণ বারবারই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছিল। আর্জেন্টিনার রক্ষণকে প্রতিনিয়ত চাপে রাখার সুফল পেতে খুব বেশি দেরি করতে হয়নি বলিভিয়াকে। ৩১ মিনিটে পাবলো এস্কোবারের ক্রস থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কার্লোস আর্সে।

    বলিভিয়ার ওই গোলের আগে অবশ্য আর্জেন্টিনাই এগিয়ে যেতে পারত ম্যাচে। গোলকিপারকে একা পেয়েও ডি মারিয়ার গোল করতে ব্যর্থ হন। প্রতি আক্রমণে উল্টো গোল খেয়ে বসে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের এই সুযোগটিই আসলে পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনার তৈরি করা সেরা সুযোগ ছিল!



    দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনার অপরিপক্ক ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে বলিভিয়ার হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্সেলো মরেনো। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে সার্জিও আগুয়েরো নামিয়ে দেন আর্জেন্টাইন কোচ। তবে তাতেও শেষ পর্যন্ত কোনো সুবিধাই আদায় করতে পারেনি তাঁর দল।

    আক্রমণ ভাগে লুকাস প্রাত্তোর অনভিজ্ঞতা ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝমাঠে ডি মারিয়া, বানেগারা বল হারিয়েছেন বারবারই। পরপর কয়েকটি পাস সম্পন্ন করতেও বেগ পেতে হয়েছে ইউরোপের নামী দামী সব ক্লাবে খেলা আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারদের। সব মিলিয়ে হতাশাজনক এক পারফরমেন্সে খাঁদের কিনারায় গিয়েই ঠেকতে হল আর্জেন্টিনাকে। 

    বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার বাকি আর চার ম্যাচ। আগামী ৩১ আগস্ট পরের ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলতে নামবে আর্জেন্টিনা।