জম্পেশ লড়াইয়ের ইঙ্গিত
বাজে ফর্ম সঙ্গী করে বিশ্বকাপ আঙ্গিনায় প্রবেশ হয়েছিল দলটির, প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে পরাজয় এবারের আসরে তাদের ভরাডুবির ফিসফিসানিটা আরও বাড়িয়ে দেয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে আসে কষ্টসাধ্য জয়। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রভাব বিস্তার করে পাওয়া ঐ জয়টাই যেন আমূল বদলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলকে। পরবর্তী ম্যাচটায় ইংল্যান্ডের তিনশোর্ধ স্কোরটাকে কোন পাত্তাই দেননি তাদের ব্যাটসম্যানেরা। ফলাফল- শিরোপার দৌড়ে অগ্রগণ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে অনুষ্ঠিত তাদের কালকের ম্যাচটাতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মতামত দিচ্ছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।
সিডনিতে শ্রীলঙ্কার অতীত ইতিহাস কিন্তু তাদের পক্ষেই কথা বলছে। এসসিজিতে খেলা তাদের গত আটটি সম্পন্ন একদিনের আন্তর্জাতিকে ছয়টিতেই জয় পেয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথে গত ১৫টি ওয়ানডের ৯টিতেই জয়ী দলের নাম শ্রীলঙ্কা। সব মিলিয়ে অনুপ্রেরণা যোগানর মতই তথ্য অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দলের জন্য। কালকের ম্যাচে তাদের দুশ্চিন্তা বলতে কেবল চোট-সমস্যা। দিমুথ করুণারত্নে ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপ থেকেই, রঙ্গনা হেরাথ খেলতে পারবেন না কালকের ম্যাচটা। এ দু’জনের জায়গায় যথাক্রমে উপল থারাঙ্গা ও সিকুগে প্রসন্ন আসতে পারেন বলে জানা গেছে।
তবে পরিসংখ্যান যাই বলুক না কেন, বেশিরভাগ ক্রিকেট বিশ্লেষকের মতে কালকের জমজমাট লড়াইয়ে ফেবারিট কিন্তু অস্ট্রেলিয়াই। পেসাররা দুর্দান্ত ফর্মে আছেন, বিস্ফোরক মেজাজে আছেন ব্যাটসম্যানরা। গত ম্যাচেই আফগানিস্তানের সঙ্গে গড়েছেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। তাঁর আগের ম্যাচে দেড়শ রান করেও প্রায় জিতে যাওয়ার ব্যাপারটা প্রমাণ করে দল হিসেবে তাদের সুসংবদ্ধতা। কালকের ম্যাচে মিচেল মার্শের জায়গায় ফিরতে পারেন শেন ওয়াটসন। উইকেট শুকনো হবার সম্ভাবনার কথা বলছেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। সে হিসেবে জশ হ্যাজেলউডের পজিশনে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মত হয়তো দেখা যেতে পারে স্পিনার জেভিয়ের ডোহার্টিকে। ছবি-সৌজন্যঃএএফপি