টয়লেট পেপারেও থাকছেন হিগুয়েইন!
১৫-১৬ মৌসুমটা স্বপ্নের মতই কেটেছিল হিগুয়াইনের। ৩৬ গোল করে সিরি আ-র সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি বনে গিয়েছিলেন নাপোলি সমর্থকদের চোখের মণিও। স্তাদিও সান পাওলোতে হিগুয়াইনের নামে হর্ষধ্বনি করাটা রীতিমত ‘রুটিন’ই বানিয়ে ফেলেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু সব হিসাবনিকাশ বদলে যায় মাত্র বছরখানেক পর। নাপোলির আকাশী নীলের বদলে হিগুয়াইনের গায়ে ওঠে জুভেন্টাসের সাদাকালো ডোরাকাটা জার্সি। নাপোলি সমর্থকদের একসময়ের চোখের মণি পরিণত হন চোখের বালিতে। বিতর্কিত এই দলবদলের পর আগামীকাল প্রথমবারের মত সান পাওলোতে ফিরবেন ‘এল পিপিতা’। সান পাওলোতে হিগুয়াইনের প্রত্যাবর্তনটা ‘স্মরণীয়’ করে রাখতে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন নাপোলি সমর্থকেরা।
নাপোলি সমর্থকদের এই ‘প্রস্তুতি’র মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে হিগুয়াইনের চেহারাখচিত টয়লেট পেপার। এছাড়াও রয়েছে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে তিরস্কার করা একাধিক ব্যানার, পোস্টার। হিগুয়াইনকে দেখে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নাপোলি আল্ট্রাসরা। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে ইতালিয়ান কিংবদন্তী পাওলো রসিও বলেছেন, “তার জন্য আগামীকালের ম্যাচটা হবে অত্যন্ত কঠিন”। উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে জুভেন্টাস ছেড়ে নাপোলিতে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষমেশ পেরুজিয়াতে পাড়ি জমান রসি। এই ঘটনার পর নাপোলির মাঠে পরবর্তী ম্যাচে সান পাওলোর বুনো পরিবেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন- স্বীকার করে নিয়েছেন রসি।
মূলত নাপোলি প্রেসিডেন্ট ডি লরিনাইটিসের সাথে দা-কুমড়ো সম্পর্কের কারণেই নাপোলি ছাড়েন হিগুয়াইন। কিন্তু এসব ছুতো একেবারেই কানে তোলেননি নাপোলি সমর্থকেরা। হিগুয়াইনকে ‘অকৃতজ্ঞ’ এবং ‘স্বার্থপর’ বলতেও ‘কার্পণ্য’ করেননি নেপলসের জনগণ। তবে নাপোলির সবাই-ই হিগুয়াইনের বিপক্ষে-এমন নয়। নাপোলি কোচ মরিজিও সারি বলেছেন, “সে আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছে। আশা করি সমর্থকেরাও এমনটা অনুধাবন করতে পারবেন”।
দলবদলের পর দুই দেখায় দুবারই লক্ষ্যভেদ করেছেন নাপোলি বিপক্ষে। উদযাপন করেননি একবারও। পয়েন্ট টেবিলে তেমন গুরুত্ব বহন না করা ম্যাচটির কেন্দ্রে থাকবেন এই আর্জেন্টাইনই।আগামীকাল স্তাদিও সান পাওলোতেগোল পেলে হিগুয়াইনের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে- দেখার বিষয় সেটিই...