• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    শেষটা হতে পারতো নখ কামড়ানো

    শেষটা হতে পারতো নখ কামড়ানো    

    ফলাফল বা সংক্ষিপ্ত স্কোর যদিও বলছে না, তবে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথটা আজ যথেষ্ট বিনোদন দিয়েছে দর্শকদের। নখ কামড়ানো ‘ফিনিশিং’-এর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৪১ তম ওভার পর্যন্ত। তবে এরপরই ঘটে এক অঘটন, যাতে করে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দল। শেষমেশ ৬৪ রানের হার নিয়ে ছাড়তে হয় মাঠ।

     

     

    ৩৭৭ রানের পর্বতসম লক্ষ্যে পৌঁছার অভিপ্রায়ে ভিত্তিটা যথেষ্ট মজবুত করার দায়িত্ব নেন দিলশান ও সাঙ্গাকারা। দিলশান ৬২ করে ফিরে গেলেও সাঙ্গাকারা ফিরেছেন শতক পূর্ণ করেই। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মত টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। সাঙ্গাকারা আউট হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় চান্দিমাল ঝড়, ২২ বলে অর্ধ-শতক তুলে নেন চান্দিমাল। যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক ম্যাথুস। ৪১ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২৮০। ঠিক এই সময়টাতে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটও ছিল ৪টি, তবে রানের সংখ্যাটা ২৭০। অঘটনটা ঘটে এ সময়েই, হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয় চান্দিমালকে। এরপর আর মাঠেই ফিরতে পারেননি। দু’বল পর ম্যাথুসও আউট হয়ে গেলে শেষ আশাটাও মিলিয়ে যায় তাদের। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এবং সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে আজকের দিনে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার জেমস ফকনার। তবে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন মিচেল স্টার্ক, ৬৮৮ রান হওয়ার দিনে প্রায় নয় ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

     

    এর আগে প্রথমে ব্যাট করে স্মিথ ও অধিনায়ক ক্লার্কের গড়ে দেওয়া ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে তোলা ম্যাক্সওয়েল ঝড় অস্ত্রেলিয়াকে এনে দেয় ৩৭৬ রানের সংগ্রহ। ১ বলের জন্য বিশ্বকাপে দ্রুততম শতকের রেকর্ড গড়া হলো না ম্যাক্সওয়েলের। ৫১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি, আর গত বিশ্বকাপে কেভিন ও’ব্রায়ানের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিটি এসেছিল ৫০ বলে। উল্লেখ্য, আজই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। স্মিথ ৭২, ক্লার্ক ৬৮ এবং ওয়াটসন করেন ৬৭ রান। ছবি-সৌজন্যঃআইসিসি