শিরোপার আরও কাছে চেলসি
গেল সপ্তাহে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হারের পর প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা দৌড়টা উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু এরপরই ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ের পর সেই আশংকাটা উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি। এই সপ্তাহেও জিতে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষেই আছে তারা। ভাইটালিটি স্টেডিয়ামে বোর্নমাউথকে ৩-১ এ হারিয়েছে তারা।
ম্যানসিটিকে হারানোর নায়ক এডেন হ্যাজার্ড গোল পেয়েছেন আজও। তবে হ্যাজার্ডের গোলের আগেই অবশ্য এক গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বোর্নমাউথ। প্রথমে পিছিয়ে যাওয়া কারণ হিসেবে অবশ্য নিজেদের ভাগ্যের দোষ দিতে পারে এডি হাউয়ের দল। ডিয়েগো কস্তার মিস কিক বোর্নমাউথ ডিফেন্ডার অ্যাডাম স্মিথের পায়ে লেগে ঢুকে যায় নিজেদের জালেই। ফলে এগিয়ে যায় চেলসি।
হ্যাজার্ড গোল করেন এর তিন মিনিট পরেই। এনগোলো কান্তের লম্বা পাস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের সাথে গোলকিপারকেও বোকা বানিয়ে দেখার মতো এক গোল করেন এই বেলজিয়ান। ১৭ মিনিটের আত্মঘাতী গোলের পর হ্যাজার্ডের বিধ্বংসী গোল বোর্নমাউথকে পিছিয়ে দেয় অনেকখানি।
তবে হাল ছেড়ে দেয়নি এডি হাউয়ের দল। একবার বারপোস্টের কারণে গোল শোধ দিতে না পারলেও প্রথমার্ধেই স্কোরলাইন ২-১ করেন জসুয়া কিং। ম্যাচে ফিরলেও দ্বিতীয়ার্ধে শক্তিশালী চেলসির বিপক্ষে আর সুবিধা করতে পারেনি বোর্নমাউথ। উল্টো ৬৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক গোল করে চেলসির তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন মার্কোস আলোনসো।
৩১ ম্যাচ শেষে চেলসির পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৭৫। প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে অবশ্য কোনো পরিবর্তন আসেনি। টটেনহ্যামও জয় পেয়েছে। তাই ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়তেই আছে লন্ডনের ক্লাবটি। লিভারপুল, ম্যানসিটিও নিজেদের খেলায় জয় পাওয়ায় পরিবর্তন হয় শীর্ষ চারেও।
ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে টটেনহ্যামের জয়টা ৪-০ গোলের। এই নিয়ে ঘরের মাঠে শেষ ১৬ ম্যাচেই অপরাজিত থাকল পচেতিনোর দল। চেলসির মতোই ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে গার্দিওলার দলও। হাল সিটির বিপক্ষে পাওয়া প্রথম গোলটিও চেলসির মতোই আত্মঘাতী গোল! বাকি দুই গোল করেছেন সার্জিও আগুয়েরো ও ফাবিয়ান ডেলফ। আজকের গোলের পর শেষ দশ ম্যাচে আগুয়েরোর গোলের সংখ্যাও দাঁড়াল দশটি।
বড় সব দলের মতোই লিভারপুল জয় পেলেও, বাকিদের মতো হেসে খেলে তিন পয়েন্ট বাগাতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ৪৪ মিনিটে গোল হজম করে স্টোক সিটির বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ার পর 'ছোট দলের' সাথে আরও একবার পয়েন্ট খোয়ানোর দুঃস্বপ্ন চোখ রাঙাচ্ছিল লিভারপুলকে। তবে দুই ব্রাজিলিয়ানের দক্ষতায় শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই স্টোক সিটির মাঠ ছেড়েছে অল রেডরা। ৭০ আর ৭২ মিনিটে লিভারপুলের হয়ে দুই গোল করেন কুতিনহো ও ফিরমিনো।