• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    চেলসি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন টেরি

    চেলসি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন টেরি    

    গুঞ্জনটা ডালপালা ছড়াচ্ছিল গত মৌসুম থেকেই। জন টেরির চেলসি ছাড়াটা যখন মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখনই সমর্থকদের উপরোধে তাঁর চুক্তিটা এক বছরের জন্য বাড়ায় চেলসি। কিন্তু এই মৌসুম শেষেই ‘ব্লুজ’দের সাথে সুদীর্ঘ ২২ বছরের গাঁটছাড়ার ইতি টানবেন এই কিংবদন্তীতুল্য সেন্টার ব্যাক। চেলসির ওয়েবসাইটে আজ এক যৌথ বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করেছে উভয় পক্ষই।

    দুই যুগেরও বেশি সময়ের পথচলায় দেখেছেন মুদ্রার দু'পিঠই। চেলসির সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের তালিকায় জন টেরির নামটা নিঃসন্দেহে থাকবে উপরের দিকেই। লন্ডনের ক্লাবটির হয়ে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন এই ইংলিশম্যান। ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন সর্বসাকুল্যে ৭১৩টি ম্যাচ, এর মধ্যে অধিনায়কত্ব করেছেন ৫৯৮টিতে। গোল করেছেন ৬৬টি। চেলসির হয়ে ম্যাচ খেলার তালিকায় রন হ্যারিস ও পিটার বোনেত্তির পরের নামটা তাঁরই। ট্রফি ক্যাবিনেটটাও ভরেছেন একাধিক শিরোপায়।

    প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতেছেন চারবার, এফএ কাপ পাঁচবার, তিনবার জিতেছেন লিগ কাপ। টেরির অধিনায়কত্বেই ১১-১২ মৌসুমে নিজেদের ইতিহাসে একমাত্র চ্যাম্পিয়নস লিগটা জিতেছিল চেলসি। পরবর্তী মৌসুমেই জিতে নেয় ইউরোপা লিগও। দলীয় অর্জনের পাশাপশি ব্যক্তিগত অর্জনও নেহায়েত কম নয়। চেলসির বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন দু'বার। ২০০৫ থেকে ২০০৯- টানা ৫ বছর জায়গা করে নিয়েছিলেন ফিফা ও উয়েফার বর্ষসেরা দলে। জায়গা পেয়েছিলেন বিশ্বকাপ ’০৬-এর ‘অলস্টার’ দলেও।

    এতসব অর্জনের পরও আন্তোনিও কন্তের কাছে কিছুটা ব্রাত্যই হয়ে আছেন টেরি। চলতি লিগ মৌসুমে ‘ব্লুজ’দের হয়ে মাঠে নেমেছেন মাত্র পাঁচবার। কিন্তু এতে বিন্দুমাত্র খেদ নেই টেরির মনে। নিজের চেয়ে বরং দলের জেতার দিকেই মনোযোগটা বেশি তাঁর। এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বয়স হয়ে গেলেও আমি জানি, এখন ফুটবলকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে আমার। চেলসির হয়ে সম্ভাব্য সবকিছু জিতেছি আমি। শেষ বয়সে এসে এখন নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে চাই।” যাবার বেলায়ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি চেলসি সমর্থকদের। বলেছেন, “যেখানেই যাই না কেন, চেলসিই থাকবে আমার প্রাণের ক্লাব। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ আমাদের দ্বিতীয় আবাস। বিগত ২২টি বছর, যুবদল থেকে চেলসির অধিনায়ক হিসেবে, পুরোটা সময়ই আপনাদের পাশে পেয়েছি। এর জন্য আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আমার সকল কোচ, সতীর্থ, স্টাফ এবং সর্বোপরি সমর্থকেরা- আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে যা-ই অর্জন করি না কেন, প্রাণপ্রিয় চেলসির হয়ে কাটানো সময়টা আমার কাছে সবসময়ই সবচেয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবে”।

    চেলসির প্রতি ভালবাসা থেকেই জানিয়েছেন, কখনোই প্রিমিয়ার লিগের অন্য কোনো দলের জার্সি গায়ে জড়াবেন না। সেক্ষেত্রে টেরির সম্ভাব্য পরবর্তী ঠিকানা হতে পারে এমএলএস বা চাইনিজ লিগ।