শিরোপা দেখছেন ডি ভিলিয়ার্স!
গত বছরটা দারুন কাটানোর পর এ বছরের শুরুটাও হয়েছিল ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে। চলতি বিশ্বকাপের আগে শিরোপা দাবীদারদের তালিকায় দক্ষিণ আফ্রিকার নামটা উপরের দিকেই ছিল। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, বিশ্বকাপের মাঠে ‘দুর্ভাগা’ প্রোটিয়াদের এই দলটাও যদি শিরোপা জিততে না পারে তবে বোধহয় আর কোনদিনই সেটা হবার নয়! কিন্তু গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্স কি খুব আশা জাগানিয়া হল? জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘাম ঝরানো জয়ে শুরুটা থমকে যায় ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দু’ ম্যাচে চার শতাধিক রানের সংগ্রহ গড়ে ডি ভিলিয়ার্সরা হয়তো বলতে চাইছিলেন, এইতো কেবল শুরু! কিন্তু এরপর আবার পাকিস্তানের বিপক্ষেই খেই হারালো অমন মারকুটে ব্যাটিং অর্ডার! গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগেও তাই কাগজকলমে নিশ্চিত হয় নি টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিটদের কোয়ার্টার ফাইনাল। হয়তো আমিরাতের বিপক্ষে বড় জয় নিয়েই শেষ আটে পা রাখবেন আমলা-ডু প্লেসিরা।
কিন্তু এরপর? আবারও কি নক-আউটে ‘চোক’ করার অপবাদ মাথায় করেই ফিরতে হবে দেশে? টুর্নামেন্টের শুরুতে প্রোটিয়াদের নিয়ে প্রবল আশাবাদীদের মনেও শঙ্কাটুকু দোলা দিয়ে যাচ্ছে। অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স কিন্তু এতো দ্রুতই ‘ব্যাকফুটে’ খেলার পাত্র নন। আমিরাত ম্যাচের আগে সোজাসাপ্টাই জানিয়ে দিলেন আরাধ্য শিরোপা থেকে আর মাত্র তিনটে জয় দূরে তাঁর দল, “আমি শতভাগ বিশ্বাস করি এই টুর্নামেন্টে আমরাই সবচেয়ে সেরা দল। গ্রুপ পর্বের ওই দুটো পরাজয় আমাদের খানিকটা কষ্ট দিয়েছে বটে কিন্তু সেসব এখন অতীত। আমরা জানি আমরা খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি...আরাধ্য শিরোপা তো আর মাত্র তিনটে ম্যাচ দূরে।”
ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটো ম্যাচেই রান তাড়া করতে গিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন আপ। তবে কি এটা কোন ধরণের দুর্বলতা? ভিলিয়ার্সের বিশ্বাস তাঁর দল এখনও যে কোন অংকের রান তাড়া করে জেতার সামর্থ্য রাখে, “এটা আসলে কোন বিষয় না। গত বছর আমরা চাপের মুখে বেশ ক’টি ম্যাচ বের করে নিয়েছিলাম। হ্যাঁ এটা সত্য যে এই দুটো ম্যাচে আমরা পারি নি। কিন্তু ব্যাটিং ইউনিটের উপর আমার আস্থা আছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের কেউ কেউ এখনও রান পায় নি এবং তাঁরা খুব শীঘ্রই যথাসময়েই সেটা পাবে।”
ভিলিয়ার্স জানালেন অন্য সব দলের মতো তাঁদেরও এখন মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের ভারসাম্যের বিষয়টি। সাত জন ব্যাটসম্যান না পাঁচজন নিয়মিত বোলার, একাদশ সাজানোয় এটাই হয়ে উঠছে বড় ইস্যু। বিকল্পটা বেঁছে নেয়াও যে খুব সহজ নয় সেটাও বুঝিয়ে দিলেন প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন, “কিছু ম্যাচে আমরা অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলেছি, আবার ভারতের বিপক্ষে একজন অতিরিক্ত বোলার নিয়ে খেলেছি। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই আমরা হেরেছি। হিসেবটা তাই এতো সহজ নয়।”