বাজি ধরে দেড় বছর নিষিদ্ধ বার্টন
বাজি ধরার দায়ে গত জানুয়ারিতে স্কটিশ ফুটবল এসোসিয়েশন কর্তৃক এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তবে এবার বেশ বড় শাস্তিই পেতে হল জোয়ি বার্টনকে। প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব বার্নলির এই মিডফিল্ডারকে বিভিন্ন ম্যাচে বাজি ধরার দায়ে দেড় বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।
৩৪ বছর বয়সী এই ইংলিশ ফুটবলারের বিরুদ্ধে বিগত দশ বছরে (২০০৬-২০১৬) বিভিন্ন ম্যাচে ১,২৬০টি বাজি ধরার দায়ে গত ফেব্রুয়ারিতে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগ স্বীকার করার পর তাঁকে ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে এফএ। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করবেন বলে জানিয়েছেন বার্টন, “এই রায় বহাল থাকলে কার্যত আমাকে এখনই অবসরে যেতে বাধ্য করা হবে।”
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে এভাবে বাজি ধরাটা ‘ম্যাচ পাতানো নয়’ এবং এর মাধ্যমে তাঁর ‘সততার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় না’ বলে মন্তব্য করেছেন বার্টন। শাস্তিটাও লঘু পাপে গুরু দন্ড হয়ে গেছে বলে দাবী তাঁর, “আমি স্বীকার করছি যে আমি পেশাদার খেলোয়াড়দের জন্য বাজি ধরার ব্যাপারে বহাল থাকা আইন ভঙ্গ করেছি। কিন্তু এ জন্য শাস্তিটা যতোটুকু হওয়া উচিত তার চেয়ে বেশিই হয়ে গেছে। আমি বাজি ধরার প্রতি আমার আসক্তি কমাতে চিকিৎসা নিচ্ছি এবং এ সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্টও এফএ’র কাছে জমা দিয়েছি। আমি হতাশ যে সেটা আমলে নেয়া হয় নি।”
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের শীর্ষ আট স্তরের লিগগুলোতে খেলা ফুটবলারদের জন্য বাজিতে অংশ নেয়া নিষিদ্ধ। এর আগে গত বছরের জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে ৪৪টি বাজি ধরার দায়ে স্কটিশ ফুটবল ফেডারেশন তাঁকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে। ওই সময় ধারে স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্সে থাকা সাবেক ম্যান সিটি ও নিউক্যাসল মিডফিল্ডার এ জানুয়ারিতেই বার্নলিতে ফিরে আসেন।