'শীর্ষ চারের' আশা বাঁচিয়ে রাখল আর্সেনাল
ম্যাচের বাকি আর চার মিনিট। আর্সেন ওয়েঙ্গারের কপালে চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট। এই ম্যাচ ড্র হলে শীর্ষ চারে পৌঁছানোর স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে। তখনই নাচো মনরিয়ালের শট লেস্টারের রবার্ট হুথের পায়ে লেগে জালে জড়ালো। এমিরেটস স্টেডিয়ামের হাজারো দর্শকের সাথে উল্লাসে মেতে উঠলেন আর্সেনাল কোচও। শেষ মুহূর্তের এই গোলেই লেস্টারের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আর্সেনাল। একই সাথে শীর্ষ চারে থাকার আশাও বেঁচে রইল।
পুরো ম্যাচেই ছিল গানারদের আধিপত্য। ৬৯ শতাংশ পজিশন, ১২ টি কর্নার, গোলপোস্টে ১২ টি শট; সবকিছু মিলিয়ে লেস্টার রক্ষণভাগকে দম ফেলার সুযোগ দেয়নি সাজচেজ-ওজিলরা। শুধু গোলটাই আসছিল না। আর্সেনাল ফরোয়ার্ডদের হতাশ করেছেন লেস্টার ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক। পাল্টা আক্রমণে দুটি সুযোগ পেয়েছিলে লেস্টারের মাহরেজ, চেকের দৃঢ়তায় অবশ্য গোল পাননি।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও বল জালে জড়াতে পারেননি কেউই। অন্যদিকে শেষ ২০ মিনিটে লেস্টারও কিছু গোলের সুযোগ পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত হুথের আত্মঘাতী গোলেই ভাঙ্গে লেস্টারের প্রতিরোধ। ম্যাচে আর গোল না হওয়ায় হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ভার্ডিদের। অবনমন অঞ্চলের একটু ওপরে থাকা লেস্টারের দুশ্চিন্তা বেড়ে গেলো খানিকটা।
এই নিয়ে লেস্টারের বিপক্ষে ২১ ম্যাচে অপরাজিত রইল আর্সেনাল। ১৯৯৪ সালে প্রথম দেখার পর আজ পর্যন্ত পরাজয়ের স্বাদ পেয়ে হয়নি। এই জয়ের পর আর্সেনালের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৩২ ম্যাচে ৬০। পঞ্চম স্থানে থাকে ইউনাইটেডের চেয়ে ৩ এবং চতুর্থ স্থানে থাকা সিটির চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে তাঁরা।
এদিকে রাতের অন্য ম্যাচে ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের গোলে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে টটেনহাম। এই জয়ে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে রইল স্পারসরা। শীর্ষে থাকা চেলসির চেয়ে চার পয়েন্ট পিছিয়ে তাঁরা।