• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইউরোপা লিগই ভরসা ইউনাইটেডের?

    ইউরোপা লিগই ভরসা ইউনাইটেডের?    

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে সোয়ানসি সিটির সাথে সাথে ১-১ গোলে ড্র করে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চারে জায়গা করে নেয়ার স্বপ্নটা হুমকির মুখে পড়ে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে এই নিয়ে খেলা ১৮ ম্যাচের ১০টিতেই ড্রয়ের মুখ দেখল হোসে মরিনহোর দল। তবে হার এড়িয়ে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার নতুন ক্লাব রেকর্ডও গড়েছে ইউনাইটেড এই ম্যাচেই।  

    আজকে ড্রয়ের পর ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানেই আছে ম্যানইউনাইটেড। লিগের বাকি আর মাত্র চার ম্যাচ। তিন অ্যাওয়ে ম্যাচের দুটি আবার আর্সেনাল ও টটেনহ্যামের বিপক্ষে। সবমিলিয়ে তাই শীর্ষ চারে শেষ করার আশাটা এখন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে মরিনহোর দলের জন্য। পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের জায়গা করে নিতে তাই ইউরোপা লিগের শিরোপা জেতাটাই বাস্তবিক অর্থে ইউনাইটেডের একমাত্র ভরসা! 


    সোয়ানসির বিপক্ষে ঘরের মাঠে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানইউনাইটেডই। প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগে পেনাল্টি থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রুনি। অবশ্য রেফারির পেনাল্টি সিদ্ধান্তটা বিতর্কিতই ছিল। মার্কোস র‍্যাশফোর্ডকে সোয়ানসি গোলকিপার লুকাস ফাবিয়ান্সকি ফাউল করার অপরাধে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালেও, টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ফাউলের জন্য নয় বরং নিজ থেকেই ডাইভ দিয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন র‍্যাশফোর্ড।

    ম্যাচ শেষে অবশ্য রেফারির ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খুব বেশি আফসোস থাকার কথা নয় সোয়ানসি সিটির। ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরে লিগের ১৮ তম স্থানে থাকলেও সোয়ানসির রেলিগেশন বাঁচানোর লড়াইটা নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল আজ। ম্যাচ শেষের এগার মিনিট বাকি থাকতে গিলফি সিগুর্ডসনের অসাধারণ এক  ফ্রি-কিক ডি গিয়ার জালে জড়ালে স্প্যানিশ এই গোলকিপারের মতোই হতভম্ব হয়ে যান ওল্ড ট্রাফোর্ডের প্রায় আশি হাজার দর্শক। শেষ পর্যন্ত সিগুর্ডসনের ওই গোলেই নির্ধারিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। 

    ঘরের মাঠে আরও একবার পয়েন্ট খোয়ানোর সাথে আরও বড় দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে এরিক বায়ি ও লুক শ'এর ইনজুরি। মার্কোস রোহো, ক্রিস স্মলিং, ফিল জোনসদের সাথে ইউনাইটেড ডিফেন্ডারদের ইনজুরির তালিকাটা আরও বড়ই হল এই ম্যাচে।