শিরোপার আরও কাছে চেলসি
এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচটা কঠিন হবে- সেটা আগে থেকেই জানা ছিল আন্তোনিও কন্তের। লিগের চার ম্যাচ বাকি থাকতে গুডিসন পার্কের এই ম্যাচটা আলাদা করে ভাবাচ্ছিল চেলসিকে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হওয়ার পর সেই চিন্তার ভাজ কিছুটা প্রশমিতই হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব সংশয় উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে এভারটনের মাঠ থেকে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে চেলসি।
এই জয়ের পর ৮১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করল চেলসি। প্রথম মৌসুমেই ইংল্যান্ডে এসে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের সুবাস পাচ্ছেন আন্তোনিও কন্তে।
প্রথমার্ধে চেলসির আক্রমণকে ভালোভাবে সামাল দিলেও ৬৬ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে পেদ্রোর শট টপ কর্নারে জড়ালে ভেঙে যায় এভারটনের সব বাধা। ডিবক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে দারুণ এক টার্নে এভারটন ডিফেন্ডার ফিল জ্যাগিয়েলকাকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জালে বল জড়িয়ে লিগে নিজের আট নম্বর গোল করেন স্প্যানিশ এই উইঙ্গার।
এক গোলে এগিয়ে যাবার পর ম্যাচটা এক অর্থে সহজই হয়ে যায় চেলসির জন্য। এরপর বাকি সময়ে আরও দুই গোল দিয়ে বড় জয় নিশ্চিত করে চেলসি। ৭৯ মিনিটে হ্যাজার্ডের ফ্রিকিক প্রথমে মার্টিন স্কেটেলেনবার্গ ঠেকিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ফিরতি বলে টোকা দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্যারি কেহিল। ম্যাচ শেষের চার মিনিট আগে বদলী হিসেবে নামার এক মিনিটের মধ্যেই গোল করে তিন গোলের জয় নিশ্চিত করেন উইলিয়ান।
অন্যদিকে লুকাকু, বার্কলিদের গোলবঞ্চিত করে ১১ ম্যাচ পরে প্রিমিয়ার লিগে ক্লিন শিট ধরে রাখলেন থিবো কোর্তোয়া। শেষবার জানুয়ারি মাসে হালসিটির বিপক্ষে নিজেদের জালে কোনো বল প্রবেশ করতে দেননি চেলসি ডিফেন্ডাররা।
চেলসির জয়ের দিনে অবশ্য জয়ের দেখা পায়নি ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ড্র করেছে গার্দিওলার দলও। রিভারসাইডে দু'বার পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত মিডলসবরোর সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানসিটি। ৩৮ মিনিটে সাবেক ম্যানসিটি স্ট্রাইকার আলভারো নেগ্রেদোর গোলে পিছিয়ে পড়ে সিটিজেনরা। ৬৯ মিনিটে আগুয়েরোর পেনাল্টি গোলে সমতায় ফিরলেও আবারও সিটিকে পিছিয়ে দেন কলাম চেম্বার্স। ম্যাচ শেষের ৫ মিনিট বাকি থাকতে গ্যাব্রিয়েল জিসুসের গোলে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে পেপ গার্দিওলার দল।
এই জয়ের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে লিগে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ম্যানসিটি।