• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    কিউই টাইগারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

    কিউই টাইগারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই    

    বেশ কিছুদিন ধরেই কথা হচ্ছিল কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত সত্যি হল সেটাই। তবে দু-একটা ব্যাপার এদিক সেদিক হলেই কিন্তু পাল্টে যেত সমীকরণ। নাসির যদি ভেটোরির ক্যাচটা না ছাড়তেন, কোরি অ্যান্ডারসনের ওঠানো টপ-এজটার সময় শর্ট ফাইন লেগে যদি একজন ফিল্ডার থাকতেন কিংবা ৪৮তম ওভারের শেষ বলে ভেটোরির শটটা যদি মাত্র এক মিটার কম দূরত্ব অতিক্রম করত- এগুলোর যেকোনো একটা ব্যাপারই হয়তো ঘুরিয়ে দিত ম্যাচ। নক-আউট পর্ব আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ৩ উইকেটের হারটায় অবশ্য তেমন কিছু এসে যাচ্ছে না বাংলাদেশের জন্যে।

     

    নিউজিল্যান্ডের জন্যে বেঁধে দেয়া লক্ষ্যটাকে বলা যায় বেশ বড়সড়ই, ২৮৮ টপকাতে হলে বিশ্বকাপে নিজেদের রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটা নতুন করে লিখতে হতো কিউইদের। ৩৩ রানের মধ্যেই মূল দুই ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম ও উইলিয়ামসনকে সাকিব ফিরিয়ে দিলে দিগন্তে জয়ের হাতছানি দেখা যাচ্ছিলো। এরপরই শুরু হয় রস টেলর ও মার্টিন গাপটিলের রাজত্ব। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে তোলা ১৩১ রানের জুটিটা ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই দিয়েছিল টাইগারদের। ১৬৪ রানে সাকিব গাপটিলকে এবং ২১৭ রানে নাসির টেলরকে প্যাভিলিয়নে ফেরালে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ, শেষদিকে যথেষ্ট রোমাঞ্চের ছোঁয়াও পাওয়া গেছে। তবে কোরি অ্যান্ডারসনের তোলা ঝড়ের সঙ্গে ড্যানিয়েল ভেটোরির ছোট্ট ক্যামিও যোগ হয়ে জয়ের বন্দরে ভেরায় ব্ল্যাক ক্যাপসদের।

     

     

    বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ছিল ভয়াবহ, টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টের গতি ও সুইংয়ের যাঁতাকলে পড়ে রীতিমত গলদঘর্ম হতে হয়েছে তামিম ও ইমরুলকে। এ দু’জন ফিরে যাওয়ার পর ‘কাউন্টার-অ্যাটাক’ করার সিদ্ধান্ত নেন আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল্লাহ ও তরুণ সৌম্য সরকার।

     

    চার-পাঁচ ওভার জুড়ে বোল্ট-সাউদিদের উপর ‘বুলডোজার’ চালান এই ব্যাটসম্যান যুগল। এরপর একটু শান্ত হয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথেই ব্যাট করেছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক অর্ধ-শতক তুলে সৌম্য ফিরে গেলেও রিয়াদ যেন আজকে পণ করেছিলেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার।

     

    ১২৩ বলে ১২৮ রানের হার না মানা ইনিংসটাকে প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়েছেন এমনকি বাংলাদেশ বিমুখ কিছু ধারাভাষ্যকারও। এ ইনিংসের মাধ্যমে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় চার নম্বরে চলে এসেছেন তিনি। শেষদিকে ২৩ বলে ৪০ রান করা সাব্বিরেরও যথেষ্ট অবদান আছে ছোটখাটো পাহাড়টা গড়ার ক্ষেত্রে। ছবি-সৌজন্যঃগেটিইমেজেস