অস্ট্রেলিয়ার আয়েশী জয়
সংক্ষিপ্ত স্কোর
স্কটল্যান্ড- ১৩০/১০, ২৫.৪ ওভার(ম্যাট ম্যাচান ৪৪, জশ ডেভি ২৬, মিশেল স্টার্ক ৪/১৪)।
অস্ট্রেলিয়া- ১৩৩/৩, ১৫.২ ওভার (মাইকেল ক্লার্ক ৪৭, শেন ওয়াটসন ২৪, টেইলর ১/২৯)।
হোবার্টের আবহাওয়া জানান দিচ্ছিল জোর বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেক্ষেত্রে খেলা না হওয়ারও একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে আকাশ মেঘলা থাকলেও পরবর্তীতে ম্যাচ শুরু হতে কোন সমস্যা হয়নি। তাই বলে কিন্তু ছেড়ে কথা বলেনি বৃষ্টি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শেষ পর্যায়ে হানা দিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছিল। তাতে খানিকটা শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল অজি শিবিরে। ঐ মুহূর্তে যদি খেলা না হত, তাহলে নির্ধারিত ২০ ওভার না খেলার দরুণ বৃষ্টি আইনে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হত। ফলাফল আবারও পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হত বিপক্ষ দলের সাথে। তবে ভাগ্য দেবীর কৃপায় খেলা পুনরায় শুরু হওয়ার সুবাদে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে মাইকেল ক্লার্কের দল। পুল “এ” তে দ্বিতীয় স্থান দখল করে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারে পাকিস্তান অথবা আয়ারল্যান্ডের।
বৈরি আবহাওয়ার ফলে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত মাইকেল ক্লার্কের। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে সক্ষম হয় বোলারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে স্কটল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিধ্বংসী বোলারদের সামনে অনেকটাই অসহায় মনে হয়েছে স্কটিশ ব্যাটসম্যানদের। একটা পর্যায়ে মনেই স্কটল্যান্ডের হচ্ছিল দলীয় সংগ্রহ তিন অংকের ঘরে পৌছাতে পারবেনা। সে সময় ম্যাট ম্যাচানের ৪৪ রানের ইনিংসটি ঐ লজ্জার হাত থেকে মুক্তি দিয়েছে। সবশেষ ১৩০ রান স্কোর বোর্ডে তুলতে সক্ষম হয় স্কটল্যান্ড। অজি বোলারদের মাঝে মিশেল স্টার্ক চারটি উইকেট তুলে নেন।
ব্যাট করতে নেমে পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনা হয়। দেখা যায় মাইকেল ক্লার্কের ওপেনিং ব্যাটসম্যান হয়ে আগমন। সাথে ছিলেন যথারীতি অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাট করতে নেমেই বিপক্ষ দলের বোলাদের উপর চড়াও হতে থাকে দুই ব্যাটসম্যান। ফিঞ্চ দলীয় ৩০ রানের মাথায় সাজ ঘরে ফিরে গেলেও ওয়াটসন ও ক্লার্ক দলকে দেয় শক্ত ভিত। ৮৮ ও ৯৩ রানে আউট হন ওয়াটসন এবং ক্লার্ক। পরের ব্যাটসম্যান ফকনার ক্রিজে আসার সাথে সাথেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন তিন উইকেটে ৯৩ রান, ওভার ১৩.২। এরপর দেড় ঘণ্টা পরে পুনরায় খেলা আরম্ভ হলে দেরি না করে দ্রুত ম্যাচ শেষ করে দেন ক্রিজে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার ও জেমস ফকনার। একের পর এক চার ছয়ে ১৫.২ ওভারেই খেলা শেষ করে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন ঐ ব্যাটসম্যান যুগল।